ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলতি বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। কলকাতায় টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে আছে জনজীবন। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাকুড়িয়া আর ঝাড়গ্রামে চলছে থেমে থেমে বৃষ্টি। অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গভীর নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি অবস্থান করায় বৈরি এ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি ঝাড়খণ্ড আর উত্তর ছত্তিশগড় এলাকায় পৌঁছাবে। উত্তাল থাকবে বঙ্গোপসাগর। যে কারণে উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টি আর দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাসের পাশাপাশি বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে পশ্চিম আর মধ্য ভারতে এক সপ্তাহের জন্য বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উড়িশ্যা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, টানা বৃষ্টিতে আবারও সৃষ্টি হতে পারে বন্যা। ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম আর ত্রিপুরায় বৃষ্টি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টির কবলে পড়তে পারে দার্জিলিংও।
এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র উত্তাল থাকায় উপকূলীয় এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের ট্রলার নিয়ে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর প্রদেশেও ১৬ আর ১৭ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কেরালা, কর্ণাটক, লাক্ষাদ্বীপেও বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। রাজস্থানে ৪৯ বছরের মধ্যে গেলো আড়াই মাসে ৬৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান। টানা বৃষ্টিতে খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারি বৃষ্টি, ভূমিধস আর বন্যায় শুধু এই প্রদেশে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।