গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলিরা। এর তিন মাসের মাথায় এবার সরাসরি আক্রমণে নেমেছে ফিলিস্তিনের বন্ধু রাষ্ট্র ইরান।
শুরুতেই ইসরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'মোসাদ' টার্গেটে পরিণত হয়। সোমবার রাতে ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মোসাদের হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরান।
ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার দুই দিনের মাথায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। তেহরান বলছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী 'জাইশ আল আদল'কে লক্ষ্য করেই তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করা তাদের লক্ষ্য নয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমীর আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাদেরকে লক্ষ্য করে আমরা হামলা করিনি। সশস্ত্র গোষ্ঠী 'জইশ আল আদল'কে ধ্বংস করাই উদ্দেশ্য ছিলো। এ বিষয়টি নিয়ে এর আগেও পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে।’
প্রতিক্রিয়ায় ইরান থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছে ইসলামাবাদ। আর সার্বভৌমত্বে আঘাত করে ইরান নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার পারদ চরমে তখন ইরানের কর্মকাণ্ড নতুন করে শঙ্কা জাগাচ্ছে আরও একটি আঞ্চলিক সংঘাতের।
পরপর ইরানের করা দুটি হামলায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় পশ্চিমা বিশ্ব। তাদের অভিযোগ, গেল দুই দশক ধরেই পরমাণু বোমা তৈরি করে আসছে ইরান। যদিও বিষয়টি একদমই অস্বীকার করেছে তেহরান।
ইন্টারন্যাশলাল এটোমিক এনার্জি এজেন্সি বলছে, ইরান পরমাণু শক্তিতে এতোটাই বলীয়ান যে পরমাণু বোমা বানাতে ইরানের সময় লাগে মাত্র ১২ দিন।
তাই গাজায় ইসরাইলে যে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে তা বন্ধ না করলে ইসরাইল ও আমেরিকাকে কঠিন পরিণতি দেখতে হবে বলে হুঁশিয়ারি তেহরানের।