দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তান সিরিজ। তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অস্থিরতায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয় সিরিজ নিয়ে। এরপর শান্তিচুক্তি হলেও বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে ধোঁয়াশাই থেকে যায়। বিসিবি থেকেও স্পষ্ট বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি এতদিন। অবশেষে ক্রীড়া উপদেষ্টা জানালেন সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বিসিবিকে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুতে পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ইতিবাচক রিভিউ দেয়া হয়েছে যে, এখন আমরা যেতে পারি। তবে আমরা বিসিবিকে একটা নির্দেশনা দিয়েছি যেন, সীমান্তবর্তী স্টেডিয়াম এড়িয়ে চলার জন্য। সেক্ষেত্রে বিসিবি এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলছে। কথা বলে যতটা নিরাপদভাবে এই সফর শেষ করা যায়।’
এদিকে বিসিবির গঠনতন্ত্র প্রক্রিয়া সংস্কারের উদ্যোগ হাতে নিলেও নানা প্রতিবন্ধকতা সেই প্রক্রিয়া আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে আবারও সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় মন্ত্রণালয়। গঠনতন্ত্র সংস্কারের পরেই বিসিবির নির্বাচন হবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কিছু বাধা ছিল সে সময়ে এবং বিভিন্ন কারণে আমরা তখন আগাইনি। অবশ্যই আমরা গঠনতন্ত্র সংস্কারকে গুরুত্ব দিবো এবং তারপর নির্বাচনের দিকে যাবো।’
আর ১০ জুন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের ম্যাচ নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত বলেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে জাতীয় ফুটবলের পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে একাধিক স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় আছে মন্ত্রণালয়ের বলে জানান আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্টেডিয়ামে মনে হয় ছয় বছর পর কোনো খেলা নামছে। ঢাকার যারা দর্শক আছে তারা আবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখার সুযোগ পাবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো আমরা দেশের অন্তত আরও দুই থেকে তিনটা স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে পারবো। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের দর্শকদেরও আমরা স্টেডিয়ামে গিয়ে সরাসরি খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে পারবো।’