হামাস

তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার সাত ঘণ্টা পর ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরাইল

হামাস তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার সাত ঘণ্টা পর ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরাইল। এর মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলো। অনিশ্চিত জীবন থেকে দীর্ঘদিন পর ফিলিস্তিনরা মুক্তি পাওয়ায় আনন্দে ভাসছেন স্বজনরা। ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংস্তুপে রূপ নেয়া গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার স্বপ্ন বুনছেন ২৩ লাখ বাসিন্দা। চুক্তির ১৬তম দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা শুরু হবে বলে জানালেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

'হামাসের হাতে আটক সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না'

হামাসের হাতে আটক সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এছাড়া যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি কার্যকরের দিকে এগোলো নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী। এদিকে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম দিনই ছয় শতাধিক ত্রাণবোঝাই ট্রাক ঢুকেছে গাজা উপত্যকায়। তবে প্রতিদিন মানবিক সহায়তা বোঝাই দুই হাজার ট্রাক গেলেও সীমাহীন দুর্ভোগ শেষ হবে না বলে দাবি বাসিন্দাদের।

যুদ্ধবিরতিকে ঘিরে ২৩ লাখ গাজাবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার

যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনের পরপরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জিম্মিদের ফেরত আনা ও হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেয়ার দাবি করেছেন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরই রাস্তায় নেমে উল্লাসে মেতে উঠেন হামাস সদস্যরা। চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইলসহ ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ। গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে মানবিক সহায়তার ট্রাকও। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের ৩ ঘণ্টা আগেও ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে ১৯ জনের।

১৫ মাসের আগ্রাসন শেষে যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইল-হামাস

১৫ মাসের আগ্রাসনের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে এসেছে ইসরাইল-হামাস। শনিবার ইসরাইলের সংসদে অনুমোদনের পর রোববার থেকে কার্যকর হবে প্রথম ধাপের ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি ও ৩৩ বন্দির মুক্তি প্রক্রিয়া। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এই চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, এই চুক্তিতে বাইডেনের কোনো ভূমিকা নেই।

গাজায় অস্ত্রবিরতির কৃতিত্বের দাবি বাইডেনের

গাজায় অস্ত্রবিরতির কৃতিত্ব দাবি করে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার প্রশাসনের নিরলস পরিশ্রম ও কূটনৈতিক কৌশলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত আসায় উভয়পক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান। ইসরাইল ও হামাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তুরস্ক, মিশর, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। জিম্মি পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনের সমর্থকরা।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরাইল-হামাস, গাজায় খুশির জোয়ার

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস। শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। হতে যাচ্ছে বন্দিবিনিময়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কাতার-মিশরের মধ্যস্ততায় দীর্ঘ কয়েক মাসের আলোচনা শেষে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। কার্যকর হবে ১৯ জানুয়ারি থেকে। এতে আনন্দে ভাসছেন বাসিন্দারা।

ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার আগেই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে গাজায়

যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার আগেই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। আত্মবিশ্বাসী বিদায়ী বাইডেন সরকার। ইসরাইল-হামাস অস্ত্রবিরতি চুক্তির ৯০ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মধ্যস্থতাকারী বিভিন্ন পক্ষ। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী ৩৩ ইসরাইল জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে হামাস। যুদ্ধ ১৬তম মাসে গড়ানোর পর অবশেষে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আশায় বুক বাঁধছেন ফিলিস্তিনিরা। অন্যদিকে, অস্ত্রবিরতির পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে বিক্ষুব্ধ হাজারও ইসরাইলি, বিভক্ত ইসরাইলি মন্ত্রিসভাও।

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনায় ইসরাইল

হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় আলোচনার অগ্রগতি হওয়ায় গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ৯০ শতাংশ নিশ্চিত। আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিও পাঠাচ্ছে তেল আবিব। গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যদিও এরমধ্যেই ইসরাইলি আগ্রাসনে একটি শরণার্থী শিবিরে প্রাণ গেছে আট জনের। মানবেতর পরিস্থিতিতে কোনোরকম সেবা দিয়ে যাচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে নয়া সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখলের হুমকি। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে হালকাভাবে না নেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। যদিও তাদের দাবি, দখলের বদলে দেশগুলোর কাছ ভালো ব্যবসায়িক প্রস্তাব পেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরাইলের তালিকা অনুযায়ী ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হামাস

ইসরাইলের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ার দাবি করেছে হামাস। যদিও, এই দাবি অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এই দ্বন্দ্বে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করে যেতে চায় বাইডেন প্রশাসন। এদিকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও গাজাজুড়ে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্যরা রয়েছেন, এমন দাবি করে গাজার উত্তরে একটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি হাসপাতাল থেকে তাদের বের করে দিয়ে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে আইডিএফ। শহরের আরেকটি হাসপাতালেও শুরু হয়েছে অভিযান। উপত্যকায় চলমান এই আগ্রাসনে শনিবার একদিনেই ইসরাইলি বর্বরতায় প্রাণ গেছে ৪৮ ফিলিস্তিনির। এদিকে জোরালো হচ্ছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে আশাবাদী ইসরাইলি-ফিলিস্তিনিরা দু’পক্ষই

ট্রাম্পের কাছেই সমাধান চাইছেন ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা। জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে দুই পক্ষই আশাবাদী। এদিকে যুদ্ধবিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় ২০২৫ সালে জাতিসংঘের রেকর্ড চার হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট প্রয়োজন। ট্রাম্পের অধীনে এই অর্থ সংস্থান নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি নিয়েও ভয়ে আছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। এছড়া ট্রাম্পের অভিযোগ, ছেলেকে ক্ষমা করে মার্কিন বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বাইডেন।