শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হঠাৎই ইরানের আকাশে দেখা মেলে আলোর ঝলকানি। তেহরান, কারাজ ও সিরাজসহ বেশ কয়েকটি শহরে সামরিক ঘাঁটির কাছে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। প্রায় চার সপ্তাহ বাদে ইসরাইলের পাল্টা হামলার চিত্র এটি।
আইডিএফের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইসরাইল জানিয়েছে, ডেইজ অফ রিপেনটেন্স নামের এই অভিযানে যোগ দেয় ডজনখানেক যুদ্ধবিমান, গোয়েন্দা বিমান ও রিফুয়েলার। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের মিসাইল প্রোডাকশন ও এয়ার ডিফেন্স ফ্যাসিলিটি। অভিযান সম্পন্নের পর নিরাপদে ইসরাইলে ফিরে এসেছে বিমানগুলো। এক বিবৃতিতে ইরানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় আইডিএফ।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'শুক্রবার রাতের শেষভাগে ইরানের সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি আর্মি। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলে হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা আক্রমণ ও রক্ষণ, দুই দিক থেকেই প্রস্তুত আছি।'
তাসনীম নিউজসহ ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হামলা প্রতিহত করায় শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। ভিডিওফুটেজেও পরিষ্কারভাবে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সক্ষমতা দেখা যায়। ইসরাইলের হামলাকে ব্যঙ্গ করতে ছাদে উঠে মিসাইল খুঁজতে শুরু করেন অনেক ইরানি।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি সামরিক ঘাঁটিগুলোও সুরক্ষিত রয়েছে। তবে পররর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইরানে বাতিল করা হয়েছে সকল ফ্লাইট। পাল্টা হামলা শঙ্কাই একই পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের এই আক্রমণকে আত্মরক্ষা হিসেবে মন্তব্য করেছে পেন্টাগন। জানানো হয়, এই হামলায় ওয়াশিংটনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যদিও ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হামলার আগেই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে ইসরাইল।
ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কপর্সের বরাত দিয়ে তাসনীম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরাইলকে জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান। এদিকে ইরানের পাশাপাশি সিরিয়াতেও চালানো হয়েছে হামলা। সানা নিউজ জানিয়েছে, রাজধানী দামেস্ক ও হোমসসহ দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক স্থাপনায় ঘটেছে বিস্ফোরণ। যদিও বেশ কয়েকটি মিসাইলকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।