সিরিয়া
সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ

সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ

গেল তিন দিন ধরে সিরিয়াজুড়ে একের পর এক ইসরাইলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে জাতিসংঘের আপত্তি সত্ত্বেও বাফার জোন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে রাজি নন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ।

নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিরিয়ায় ধারাবাহিক হামলা ইসরাইলের!

নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিরিয়ায় ধারাবাহিক হামলা ইসরাইলের!

তাহরির আল শামের মতো উগ্রপন্থি সংগঠনের হাতে কোনোভাবেই যেন মারাত্মক অস্ত্র না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতেই সিরিয়ায় একের পর এক হামলা করছে ইসরাইল। যদিও তেল আবিবের এমন দাবির সাথে দ্বিমত পোষণ করে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের যোগসাজশ রয়েছে এমন কোনো প্রতিবেশি রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য আর নিরাপদ নয়। এই মুহূর্তে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তেল আবিব সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে বলেও মত তাদের। বিশ্লেষকদের দাবি, সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই নেতানিয়াহুর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

'আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত'

'আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত'

বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত ছিল। যার প্রমাণ রয়েছে ইরানের কাছে। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

নিরাপত্তা অজুহাতে সিরিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা ইসরাইলের

নিরাপত্তা অজুহাতে সিরিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা ইসরাইলের

বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে নিজ দেশের নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়ে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা করেছে ইসরাইল। নিরাপত্তা দেয়ার নাম করে দামেস্কের কাছেই সেনা মোতায়েন করেছে তেল আবিব। এদিকে দেশ স্বৈরশাসকমুক্ত করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরীর আল শামের নাম সশস্ত্র সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে দেশের মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার।

সিরিয়ায় ফিরছেন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো শরণার্থী

সিরিয়ায় ফিরছেন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো শরণার্থী

৫০ বছর আসাদ পরিবারের বর্বর স্বৈরশাসন আর ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়া এখন মুক্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত হলেও স্বাধীন দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিরিয়ার লাখো শরণার্থী। লেবানন, তুরস্ক আর জর্ডান সীমান্তে ঢল নেমেছে শরণার্থীদের। গৃহযুদ্ধের সময় পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীরাও আসতে চাইছেন স্বৈরশাসনমুক্ত নিজের মাতৃভূমিতে। যদিও সরকারের পতন ঘটানো হায়াত তাহরীর আল শামের নেতৃত্ব আর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো দূর হয়নি অভিবাসীদের শঙ্কা।

আসাদের ‘কসাইখানা’ থেকে মুক্ত হচ্ছেন নির্যাতিত সিরীয়রা

আসাদের ‘কসাইখানা’ থেকে মুক্ত হচ্ছেন নির্যাতিত সিরীয়রা

স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার কারাগারগুলো খুলে দিয়েছেন। এসব কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি থাকা হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে উঠে আসছে আসাদের কসাইখানা হিসেবে পরিচিত সেদনায়া কারাগারসহ বেশ কয়েকটি কারাগারে বন্দিদের নির্মম নির্যাতন আর হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা। ধারণা করা হচ্ছে, এখনও কারাগারের নিচে রয়েছেন অনেক বন্দি। কারাগারগুলোতে জীবিত মানুষ খুঁজছে সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার তোড়জোড়

সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার তোড়জোড়

আসাদ পরবর্তী সিরিয়ায় চলছে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার তোড়জোড়। বিদ্রোহী এইচটিস অন্তর্ভুক্ত বিরোধী জোটকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা। রাশিয়ায় আশ্রিত আসাদের কাছেও গেছে প্রস্তাব। অন্যদিকে আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। সিরিয়ায় একদিনে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। এদিকে, অস্থিরতার সুযোগে আইএস মাথাচাড়া দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য।

রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় আসাদের পতন

রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় আসাদের পতন

রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতন- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিরিয়ায় থাকা ইরানি রাষ্ট্রদূত। বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে মার্কিন মিত্র ইসরাইল বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ অবস্থায় সিরিয়া সরকার পিছু হটায় মিত্রদের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা পালন করা সম্ভব হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা সুসংহত হওয়ায় লাভবান ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা সুসংহত হওয়ায় লাভবান ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!

আসাদের পতন ইরানের আঞ্চলিক শক্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধীরা। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো বলে লাভবান হয়েছে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে এটি ইসরাইলের জন্য বড় হুমকিরও কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনে সুসময় যেমন ফিরতে পারে, তেমনি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে পুরো অঞ্চলকে। বিশেষ করে আসাদের পতন ঘটানো বিদ্রোহীদের অনেকেরই যেখানে অতীত ইতিহাস সুখকর নয়, বরং ভয়াবহ।

ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদ

ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদ

প্রেসিডেন্ট বাবা হাফিজ আল-আসাদের সংস্পর্শে থেকে ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদও। ২৯ বছর দেশের ক্ষমতা ধরে রাখা বাবার মৃত্যুর পর ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন বাশার। বিরোধী মত দমনের মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালের পর জনগণের কাছে ধীরে ধীরে স্বৈরশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ২০১১ সালে যা রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। অবশেষে আসাদ সরকার বিরোধী হায়াত তাহরির আল শামের বিদ্রোহীদের টানা ১২ দিনের শহর দখল অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

সিরিয়ার চতুর্থ শহর দারা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা

সিরিয়ার চতুর্থ শহর দারা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা

ইদলিব, আলেপ্পো ও হামার পর চতুর্থ শহর দারা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা। পাশাপাশি হায়াত তাহরির আল শাম প্রবেশ করেছে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমসে। প্রাণে বাঁচতে চাইলে আসাদের দল ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার হুমকি দিয়েছে বিদ্রোহীরা। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আশা, কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই সিরিয়াজুড়ে চলবে বিদ্রোহীদের অভিযান। তবে বাশার সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা

সিরিয়ায় নতুন করে চলমান গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। এরইমধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো হাজার হাজার বাসিন্দা খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় সিরিয়ায় থাকা সব মানবিক সংস্থায় অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপি।