
আসাদ পালিয়ে গেলেও সিরিয়ায় নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে ইসরাইল
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তোপের মুখে স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ পালিয়ে গেলেও দেশটির জন্য নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করছে ইসরাইল। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে গোলান মালভূমিতে বসতি বাড়াবে ইসরাইল। এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এদিকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ব্রিটেন।

স্বাভাবিক হচ্ছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা, গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা। শ্রেণিকক্ষে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। দেশে আসছে উদ্বাস্তু হওয়া সিরিয়াবাসী। গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। এরইমধ্যে সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

১২ বছর পর সিরিয়ায় কার্যক্রম শুরু তুরস্ক দূতাবাসের
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিরিয়ায় আবারও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো তুরস্ক দূতাবাস। রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত দূতাবাসে উত্তোলন করা হয় তুর্কি পতাকা।

পুতিনের সিদ্ধান্তেই আসাদ পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয়!
রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তার স্ত্রী আসমার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব থাকলেও তিনি রাশিয়া ছাড়ছেন না। সন্তানেরাও মস্কোতেই থাকছেন। আসাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ থাকলেও, তাকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে আপাতত কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

সিরীয় সেনা ঘাঁটিতে রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলা
সিরিয়ার লাতাকিয়া ও তার্তুস প্রদেশে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে কয়েক দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। লেবাননের সংবাদ মাধ্যম আল মায়াদীনের তথ্য বলছে, যেসব স্থানে হামলা হয়েছে তার আশেপাশেই ছিল রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি। স্যাটেলাইট ইমেজের বরাতে রয়টার্স জানায়, এরইমধ্যে সেনাঘাঁটি ছেড়ে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে লাকাতিকা বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে রুশ সেনারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-৪ এর প্রতিবেদন বলছে, শান্তিপূর্ণভাবে সিরিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পথ খুঁজছে মস্কো।

আসাদের মাদক সাম্রাজ্যের আস্তানা ভাঙতে মরিয়া বিদ্রোহীরা
বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর মাদক-ক্যাপ্টাগনের আস্তানাগুলো। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ভয়ংকর এই মাদক সাম্রাজ্যের ইতি টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিদ্রোহীরা। তবে আসাদ সরকারের মাদক নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে সিরিয়ার অর্থনীতিকে চাঙা করতে নতুন প্রশাসন কোন পথে হাটবে তা এখন বড় প্রশ্ন। চ্যালেঞ্জ যাই হোক, টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার আগে মুক্ত-বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ
গেল তিন দিন ধরে সিরিয়াজুড়ে একের পর এক ইসরাইলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলছেন, ঝুঁকি এড়াতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে জাতিসংঘের আপত্তি সত্ত্বেও বাফার জোন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে রাজি নন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ।

নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিরিয়ায় ধারাবাহিক হামলা ইসরাইলের!
তাহরির আল শামের মতো উগ্রপন্থি সংগঠনের হাতে কোনোভাবেই যেন মারাত্মক অস্ত্র না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতেই সিরিয়ায় একের পর এক হামলা করছে ইসরাইল। যদিও তেল আবিবের এমন দাবির সাথে দ্বিমত পোষণ করে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের যোগসাজশ রয়েছে এমন কোনো প্রতিবেশি রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য আর নিরাপদ নয়। এই মুহূর্তে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তেল আবিব সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে বলেও মত তাদের। বিশ্লেষকদের দাবি, সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই নেতানিয়াহুর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

'আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত'
বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত ছিল। যার প্রমাণ রয়েছে ইরানের কাছে। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

নিরাপত্তা অজুহাতে সিরিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা ইসরাইলের
বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে নিজ দেশের নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়ে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা করেছে ইসরাইল। নিরাপত্তা দেয়ার নাম করে দামেস্কের কাছেই সেনা মোতায়েন করেছে তেল আবিব। এদিকে দেশ স্বৈরশাসকমুক্ত করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরীর আল শামের নাম সশস্ত্র সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে দেশের মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার।

সিরিয়ায় ফিরছেন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো শরণার্থী
৫০ বছর আসাদ পরিবারের বর্বর স্বৈরশাসন আর ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়া এখন মুক্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত হলেও স্বাধীন দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিরিয়ার লাখো শরণার্থী। লেবানন, তুরস্ক আর জর্ডান সীমান্তে ঢল নেমেছে শরণার্থীদের। গৃহযুদ্ধের সময় পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীরাও আসতে চাইছেন স্বৈরশাসনমুক্ত নিজের মাতৃভূমিতে। যদিও সরকারের পতন ঘটানো হায়াত তাহরীর আল শামের নেতৃত্ব আর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো দূর হয়নি অভিবাসীদের শঙ্কা।

আসাদের ‘কসাইখানা’ থেকে মুক্ত হচ্ছেন নির্যাতিত সিরীয়রা
স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার কারাগারগুলো খুলে দিয়েছেন। এসব কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি থাকা হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে উঠে আসছে আসাদের কসাইখানা হিসেবে পরিচিত সেদনায়া কারাগারসহ বেশ কয়েকটি কারাগারে বন্দিদের নির্মম নির্যাতন আর হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা। ধারণা করা হচ্ছে, এখনও কারাগারের নিচে রয়েছেন অনেক বন্দি। কারাগারগুলোতে জীবিত মানুষ খুঁজছে সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থাগুলো।