দেশে এখন
0

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

উত্তরবঙ্গের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে সিরাজগঞ্জে এখনও বিপৎসীমার উপরে যমুনা নদীর পানি। এতে পানিবন্দি জেলার নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার একলাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। একই চিত্র দেখা যায়, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, সুপেয় পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার বুক সমান পানি। পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তা ঘাট, বসত-বাড়ি ও চুলা। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। এতে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের পানিবন্দি দেড় লাখেরও বেশি মানুষের।

এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তিনটি পয়েন্টের পানি। এতে এখনও পানিবন্দি জেলার ৪২ হাজার পরিবার। সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ আবার পরিবার নিয়ে ঠাঁই নিচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।

একই চিত্র দেখা যায় সিরাজগঞ্জে। যমুনার পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে থাকায় পানিবন্দি জেলার ৫ উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর ফসলি জমি। সেই সাথে চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় চরম সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

এদিকে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমলেও নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ উপজেলার তিন লাখ বাসিন্দা। বন্ধ রয়েছে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদান কার্যক্রম। পরিবার নিয়ে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। বিভিন্ন সড়ক ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী কয়েকদিনে পানি আরও কমতে পারে। এতে দুর্ভোগ কমবে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের।

ইএ