৩০ মার্চ থেকে এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে কমপক্ষে ১৫৭টি টর্নেডো। যারমধ্যে ৯০টির বেশি আঘাত হেনেছে মিসিসিপি, অ্যালাব্যামা, জর্জিয়া, ফ্লোরিডাসহ ১০ অঙ্গরাজ্যে।
টর্নেডোতেই শেষ নয়। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনেক নদী। ঝড় শেষ হলেও চলছে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যা। টেনেছি, আরকানসাস ও ইন্ডিয়ানাসহ বন্যার কবলে ১১ অঙ্গরাজ্য, জারি রয়েছে উচ্চ সতর্কতা।
এক অধিবাসী জানান, এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়নি। যে পরিমাণে পানি এবার উঠেছে, আগে কখনো দেখিনি।
তলিয়ে গেছে টেক্সাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দক্ষিণ থেকে মধ্য পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ। আরকানসাসজুড়ে প্রায় সব সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। কেন্টাকিতে ৬০ ফিট পানির নিচে দর্শনার্থী প্রিয় লস্ট রিভার কেভ। ওহাইও নদীতে ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে পাঁচ ফুট।
আরকানসাস থেকে ইন্ডিয়ানা পর্যন্ত বিভিন্ন নদীর ১৮টি অংশ বন্যা কবলিত। চলতি সপ্তাহে মধ্য-দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমে অর্ধশত উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে বড় ধরনের বন্যার আভাস।
লুইজিয়ানা থেকে পেনসিলভেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বড় বড় শহরে রোববার থেকে জারি বন্যা সতর্কতা। টেনেসিতে সবচেয়ে বেশি, বন্যায় প্রাণহানি হয়েছে কেন্টাকি, মিজৌরি, জর্জিয়া, আরকানসাস আর মিসিসিপিতেও। গবাদি পশু নিয়ে আটকা পড়েছেন খামারিরা।
এক খামারি জানান, ঘরে পানি উঠলেও সরে যেতে পারিনি। গরু-বাছুরগুলোর খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের তথ্য, চারদিনে গড়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেনেসির মেমফিস শহরে, ৩৫৫ মিলিমিটারের বেশি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিল, বলিভিয়া ও পেরুর অভিন্ন সীমান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
