৩০ বছরে এমন বন্যার মুখোমুখি হয়নি নেত্রকোণাবাসী
আকস্মিক বন্যায় ভাসছে নেত্রকোণার চার উপজেলা। হঠাৎ আসা পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন গ্রাম। নদী তীরবর্তীরা বলছেন, গত ৩০ বছরেও এমন বন্যার মুখোমুখি হননি তারা। যদিও বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে বেশ কিছু এলাকায়। দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারসহ বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
উত্তরবঙ্গের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে সিরাজগঞ্জে এখনও বিপৎসীমার উপরে যমুনা নদীর পানি। এতে পানিবন্দি জেলার নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার একলাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। একই চিত্র দেখা যায়, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, সুপেয় পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে স্থানীয় ভারতীয়রা
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিস্তার তাণ্ডবে প্রতিনিয়ত আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। ফলে, চরমে পৌঁছেছে ভোগান্তি।
সাতক্ষীরায় গড়ে উঠেছে কাঠের নৌকা তৈরির কারখানা
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়, সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে ২০টি কাঠের নৌকা তৈরির কারখানা। বর্ষা মৌসুমে এখানকার নৌকার চাহিদা বাড়ে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে কারখানার কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা আসছেন কারখানা থেকে নানা আকারের নৌকা কিনতে।
ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে ফেনী জেলার নদী তীরবর্তী জনপদের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লোকালয়ে প্রবেশ করে পানি। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন হয় শেষ সম্বল। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে ৮শ' কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।