মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিলনমেলার এখনও এক মাসের বেশি সময় বাকি। হজ সামনে রেখে এরই মধ্যে সৌদি আরবে বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা পৌঁছাতে শুরু করেছেন। চলতি বছর দেশটির ছয়টি বিমানবন্দরে হাজিদের নিয়ে নামবে সাত হাজার ৭০০ ফ্লাইট। হাজিদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রিয়াদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম হজ ফ্লাইটে সৌদি আরবে পা রাখেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার হাজিরা। প্রথম দিন শুধু ভারত থেকেই ১৩টি ফ্লাইটে প্রায় সোয়া চার হাজার মানুষ মদিনায় পৌঁছান। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি আর মুলতান থেকে এদিন সাতটি ফ্লাইটে মদিনায় পৌঁছান ২১শ'র বেশি হজযাত্রী। বাংলাদেশ থেকে প্রথম দিন গেছেন ৪১৫ জন মুসল্লি।
মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় এবার হাজিদের যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা সহজ করতে গুরুত্ব দিয়েছে সৌদি প্রশাসন। হাজিদের সেবায় ২৭ হাজারের বেশি বাস নিয়োজিত থাকবে। আর হজের এক মাসে পাঁচ হাজারের বেশি যাত্রা করবে দ্রুতগতির আল-হারামাইন ও আল-মাশাইর ট্রেন।
আল্লাহর অতিথি সেবা কর্মসূচির আওতায় এ বছর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন। পরিবহন সেবা সহজ করতে অ্যাপ চালু করা হয়েছে। আর উড়ন্ত ট্যাক্সির মাধ্যমে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে মক্কার বিভিন্ন হোটেলে হজযাত্রীদের আনা-নেয়া করা হবে।
সৌদিয়া গ্রুপ জানিয়েছে, পরিবহনের নতুন মাধ্যম হিসেবে এয়ার ট্যাক্সি যোগ করার কাজ এখনও চলছে। জার্মানিতে তৈরি ১০০টি লিলিয়াম জেট কেনা হবে। উড্ডয়ন ও অবতরণে সক্ষম ছোট এসব উড়োযান কা'বা ঘরসহ বিভিন্ন পবিত্র স্থানের নিকটবর্তী হোটেলে আসা-যাওয়া করবে।
এদিকে হজের মৌসুমে বাড়তি ভিড় ঠেকাতে হজের অনুমতিপত্র ছাড়া মক্কায় ঢুকলে জরিমানা গুণতে হবে ১০ হাজার রিয়াল। ২ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত কার্যকর হবে এই নিয়ম। চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হতে পারে পবিত্র হজ।