মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি খুব আলোচিত-সমালোচিত। তবে এবার ভারতের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে ওয়াশিংটন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এর এক খবরে বলা হয়, ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর দিয়ে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তেল রপ্তানি করে তেহরান। আর সেই সমুদ্রবন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে মার্শাল শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ ভারতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি।
বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অভিযোগ, ভারতের এসব কোম্পানিগুলো সমুদ্রবন্দর দিয়ে ইরান থেকে চীনে তেল পাঠাতে সাহায্য করছে। এতে ইরানের হাতে জমা হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। যা দিয়ে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে তেহরান। বানাচ্ছে পারমাণবিক বোমাসহ ভারি সব যুদ্ধাস্ত্র।
এছাড়াও ইরানের প্রক্সি গ্রুপ হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি ও ইরাকের মিলিশিয়া গোষ্ঠীকেও এই খাত থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়েই সহায়তা করছে ইরান। এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
তাইতো এবার নয়াদিল্লির ওপর কিছুটা নাখোশ হয়েই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চাবাহার সমুদ্রবন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মার্শাল শিপ ম্যানেজমেন্টসহ ভারতের অন্যান্য কোম্পানির ওপর। আর এর জের ধরে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চির ধরতে পারে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে আসছে সপ্তাহে অনু্ষ্ঠিত হতে যাওয়া ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দুই নেতার বৈঠকে আসতে পারে এর কোন সমাধান।