ট্রাম্পের শুল্কঝড় মোকাবিলায় কানাডার হাল ধরবেন কে?

কানাডার ওপর শুল্কারোপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরেছেন ট্রাম্প | এখন টিভি
0

ট্রাম্পের শুল্ক ঝড় মোকাবিলায় শক্ত হাতে কে ধরবেন কানাডার হাল? নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এ নিয়ে হিসেব কষছেন দেশটির জনগণ। অর্থনীতির বিষয়ে পটু হওয়ায় অধিকাংশ বাংলাদেশি কানাডিয়ানসহ অনেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রাখছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নিকে। তবে তরুণদের মাঝে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভের জনপ্রিয়তা থাকায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রয়েছে শঙ্কাও।

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার হুমকিসহ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধে অটোয়া-ওয়াশিংটন বৈরিতা চরমে। এতে অর্থনৈতিক সংকট এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই কানাডায় ঘনিয়ে এলো আগাম নির্বাচন।

নির্বাচনী লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার হাল ধরা লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। এছাড়া হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ। তবে এক জনমত জরিপে দেখা যায়, তুমুল জনপ্রিয়তার পরও আগাম নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ লুফে নিতে দেরি করায় প্রচারণার মাঠে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা।

এ অবস্থায় কার্নি জিতলেও দেশের খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেন পিয়েরে পলিয়েভ। আওয়াজ তুলেছেন পরিবর্তনের। সেই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের শুল্কনীতিরও।

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই আমেরিকান শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু আমাদের নয়। আমেরিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমরা অর্থনীতি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। তাই, খেলা এখন ট্রাম্পের হাতে।’

সব মিলিয়ে কানাডার নির্বাচনী প্রচারণায় এবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। মার্কিন শুল্কযুদ্ধ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজয়ের পথ মসৃণ করতে মরিয়া এই নেতা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক শুল্কের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ইস্পাত এবং গাড়ির উপর আমরাও পাল্টা শুল্কারোপ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বাধিক চাপ দেয়ার জন্য পাল্টা শুল্কারোপ করা। এতে কানাডায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর হওয়ায় দেশে অর্থনীতির স্বার্থে মার্ক কার্নিকে এগিয়ে রাখছেন বেশিরভাগ বাংলাদেশি কানাডিয়ান। এমনকি ট্রাম্পের শুল্কঝড় মোকাবিলায় তিনিই যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন তারা।

কানাডার লিবারেল পার্টি নেতা আহসান হাবীব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাতে লিবারেল পার্টি আবারো জয়ী হবে। ব্যবধান আগের মতো হবে না। তাতে লিবারেল পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে।’

আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে জানা যাবে কে হচ্ছেন কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ৪ হাজারের বেশি কানাডিয়ানদের নিয়ে চালানে এক অনলাইন জরিপে দেখা যায়, ৪২ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে লিবারেল পার্টি। আর কনজারভেটিভদের পক্ষে জনসমর্থন ছিল ৩৭ শতাংশ।

সেজু