আমিরাতে বসবাসকারী প্রবাসীরা বলেন, 'এখানে আমাদের সব বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক সঙ্গে ইফতার করার সুযোগ হয়। এটি অনেক বড় আয়োজন।'
আজমান প্রদেশের বড় এই ইফতার আয়োজন নিয়ে এভাবেই নিজেদের ভালো লাগার কথা জানালেন প্রবাসীরা। যেখানে থাকে না ভেদাভেদ। নারী-পুরুষদের জন্য রাখা হয় আলাদা বসার ব্যবস্থা। পরিবেশন করা হয় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিশাল এই আয়োজনে খাবার পরিবেশন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও নিয়োজিত ছিলেন প্রায় ৩শ' কর্মী।
আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, 'বাংলাদেশি বা আমাদের যারা কমিটিতে আছে, সবাই অত্যন্ত আন্তরিক। অন্যান্য দেশের সবাই এখানে ইফতার করতে আসছে।'
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, 'রোজার যে উদ্দেশ্য ও প্রকৃত শিক্ষা তা নিহিত আছে এ ধরনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মধ্যে। এর মাধ্যমে মুসলমানদের মিলনমেলা হয়ে থাকে।'
বাংলাদেশ থেকে এই আয়োজন যোগ দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন মিলনমেলার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দুবাই এত বড় অনুষ্ঠান বাংলাদেশিদের জন্য করেছে তার জন্য আমরা বাঙালীরা গর্বিত। দুবাই ও বাংলাদেশ মিলে মিশে আমরা উন্নয়নের জন্য কাজ করবো।'
গত কয়েক বছর ধরে এই আয়োজনকে ঘিরে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে একপ্রকার উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। যা বিদেশিদের কাছেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে বলে দাবি করেন প্রবাসীরা।