নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার শঙ্কা বেশি অর্থনীতিবিদদের
প্রস্তাবিত বাজেট দিয়ে আগামী অর্থবছরে নিত্যপণ্যের দর কমানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি এই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে বাড়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করছেন তারা। ইআরএফ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বাজেটের স্লোগানে যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, বাজেটে তার প্রতিফলন কম।'
বাজেটে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় কমানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বিগত বছরগুলোর তুলনায় কম বাড়লেও এর ঘাটতির পরিমাণ বেশি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। কারণ রাজস্ব আহরণে ঘাটতি অন্যান্য বছরের মতই বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারের ঋণের পরিমাণ বাড়বে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে লক্ষ্য নেয়া হয়েছে তাও পূরণ হবে না। আজ (বুধবার, ১২ জুন) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত বাজেটের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনায় এসব কথা জানান তারা। তাই বাজেটে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
কথা ও ইন্টারনেটের খরচ বৃদ্ধিতে হতাশ গ্রাহক; লোকসানের আশঙ্কা কোম্পানির
মুঠোফোনে কথা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আরও খরচ বাড়ায় হতাশ সাধারণ গ্রাহকরা। বলছেন, এতে করে তাদের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বলছে, অতিরিক্ত খরচ জনগণের ঘাড়ে গিয়ে পড়ায় গ্রাহক কমতে পারে।
বাজেটে পুঁজিবাজারের মূলধনী আয়কে ১ বছর করমুক্ত রাখার অনুরোধ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের
প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে মূলধনী আয়কে অন্তত ১ বছর করমুক্তকরণ ও নতুন বিওধারীদের ৩ বছর করমুক্ত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। পাশাপাশি সাতটি বিষয়ে মতামত দিয়েছে সংগঠনটি।
পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে বাজেটে কিছু নেই, বলছেন বিশ্লেষকরা
কিছুতেই যেন প্রত্যাশিত গতি ফিরছে না দেশের পুঁজিবাজারে। বারবার দরপতনে পোর্টফোলিও দুর্বল হয়েছে অনেক বিনিয়োগকারীর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে তাই দাবি ছিলো বেশকিছু করছাড় সুবিধার। তার কিছু মিটলেও যুক্ত হয়েছে নতুন কর। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য জোরালো কোনো আশা খুঁজে পাচ্ছেন না বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আস্থার সংকটের সমাধান না হলে কোনো কিছুতেই গতি ফিরবে না বাজারে।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিলেও পণ্যের দাম বাড়তি
এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ২৭ অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্যের উৎসে কর কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। সেই পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও বেড়েছে দাম। ক্রেতাদের শঙ্কা কর হার কমলেও পণ্যের দাম কি কমানো যাবে?
‘ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফেরাতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ’
ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফেরাতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বাজেটটা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ (শুক্রবার, ৭জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ (শুক্রবার, ৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
‘কৃষি-জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়িয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে সরকার’
অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আইএমএফের চাপ উপেক্ষা করে কৃষি ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়িয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে সরকার। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আগামী ৫ থেকে ১০ বছর কর ব্যবস্থাপনা স্থিতিশীল রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
‘মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা; আগামীতে সরকারের দেনা আরও বাড়বে’
দেশে অব্যাহত ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি আগামী ১২ মাসের মধ্যে কমিয়ে ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা বাজেটে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেটিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আগামী অর্থবছরে সরকারের দেনা আরো বাড়ার পাশাপাশি বিদেশি ঋণের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে রাজস্ব আহরণে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে তা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়- বলছে সিপিডি।