নানা দেশের বাহারি খাবার, ভিন্ন সংস্কৃতি, শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও পণ্য বেচাকেনার উন্মুক্ত বাজার বসেছে দুবাইয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গ্লোবাল ভিলেজে ৬ মাসের শীতকালীন এই মেলা শুরু হয়েছে গত অক্টোবরে।
বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন, থিম পার্ক, শিশু কিশোরদের খেলার মাঠ, সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন আর খাবারের স্টল মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের। প্রতিবছর লাখো পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় জমান এখানে।
চলতি বছরের ২৯তম আসরে যুক্ত হয়েছে ইরাক, জর্ডান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। যদিও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ নেই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আয়োজক রাধা সুধাকরণ বলেন, ‘গ্লোবাল ভিলেজে সব দেশের অংশগ্রহণ থাকলেও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নাম ছিল না। তাই এই দুই দেশের জনপ্রিয় পণ্যগুলো বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতে অংশগ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশের কাপড়ের মান অনেক ভালো। বিশেষ করে লিলেন কাপড়। শুধু কাপড়ই নয়, যেকোনো বাংলাদেশি পণ্য এই মেলায় প্রদর্শনের সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
স্টল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন বাংলাদেশি কিছু ব্যবসায়ী। এদের অনেকেই প্রতিবছর এই মেলায় অংশ নেন। তাদের দাবি, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দেশের পণ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য এটি অন্যতম মাধ্যম।
প্রবাসী ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি অর্গানাইজেশন থেকে কোনো স্টল নেই নাই বা কোনো অর্গানাইজারও ইনভেস্ট করেনি এখানে। আমরা শুধু বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করেছি।’
আরেকজন বলেন, ‘এখানে সব ধরনের কাস্টমার আসে। বিভিন্ন দেশের লোক এখানে ভিড় করেছে।’
মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলার কথা বলছে বাংলাদেশ মিশন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দুবাই আমাদের ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোকে এখানে এগিয়ে আসতে হবে।’
২০২৫ সালের ১১ মে পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয় প্রতিদিন বিকাল ৪টায়। গত আসরে রেকর্ড প্রায় ১ কোটি দর্শনার্থী এসেছিল গ্লোবাল ভিলেজে।