পরিষেবা
অর্থনীতি
0

'রমজানে বেশি চাহিদার পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন ও ঋণসীমা উঠিয়ে দেয়া হবে’

মূল্যস্ফীতি কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া রমজানে চাহিদা বেশি থাকে এমন সব পণ্য আমদানিতে সাময়িকভাবে এলসি মার্জিন ও ঋণসীমা উঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ (বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর) মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এছাড়া বন্যা ও হঠাৎ শ্রমিকের বেতন বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান বেশিদিন এটি স্থায়ী হবে না। সিন্ডিকেট মুক্ত রাখতে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং হচ্ছে বলেও জানান গভর্নর।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার তুঙ্গে মূল্যস্ফীতি, যা ঊর্ধ্বমুখীও বেশ। গেল অক্টোবরে পুনরায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৮ শতাংশ। যা গেল তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এমন পরিস্থিতিতে বাজারদর যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যাশাও বেশি। সরকারের নানা পদক্ষেপের মধ্যে বাজারে মুদ্রা সরবরাহের লাগাম টেনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরেক দফা বাড়িয়েছে নীতি সুদহার।

তবুও যেন আকাশ ছুঁতে চায় মূল্যস্ফীতি। যার প্রভাব নিত্যপণ্যে সবচেয়ে বেশি। তাই কীভাবে মূল্যস্ফীতি কমানো যায় সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর থেকে শুল্ক উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। এছাড়া রোজায় চাহিদা বেশি থাকে এমন সব পণ্যের উপর থেকে এলসি মার্জিন চার্জ নেয়া বন্ধ হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'রোববারে হয়তো একটা সার্কুলার ইস্যু করবো যে এসেনশিয়াল গুডসের ওপর যেন কোনো এলসি মার্জিন না নেয়া হয়। অন্তত রোজা পর্যন্ত যেন এটার ওপর এলসি মার্জিন চার্জ না করে। আমরা মূল্যস্ফীতি কমানো নিয়েই সমালোচনা করি এখনও নিজেদেরকেও সমালোচনা করি। মানিটারি পরিসি এবং অন্যান্য টাইটেনিং করার পরও ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে। যে জিনিসটা পাঁচ বছর, সাত বছর ধরে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছি, সেটা তো ওভারনাইট কমানো কঠিন।'

মূল্যস্ফীতি হঠাৎ বাড়ার দু'টি কারণ উল্লেখ করেন গভর্নর। যেটি বন্যা এবং শ্রমিকের বেতন বাড়ানো। তবে এটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানান তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'বৃদ্ধিটা হয়তো সাময়িক। আর একটা ফ্যাক্টর আমরা উল্লেখ করেছি এখানে সেটা হলো বেইজজ্যাকেট। অর্থাৎ জুলাই মাসের পর থেকে কিন্তু মূল্যস্ফীতিটা আর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় না, এটা ফ্রি। তার আগে এটা নিয়ন্ত্রিত ছিল। তো নিয়ন্ত্রিত এর যে লেভেলটা আর এখন ফ্রি লেভেলটার মধ্যে যে পরিবর্তন সেটা কিন্তু বেশি হবেই। এই কারণে মূল্যস্ফীতি কয়েকটা মাস একটু হাই লেভেলে থাকবে। এটাতে আমরা কিছু করতে পারবো না।'

চালের উপর শুল্ক শূন্য করে দেয়ার পরও আমদানি না হওয়ায় চালের বাজারে সরবরাহ ঘাটতি নেই উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া এ বছর চাল আমদানি দরকার হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর