সামরিক-আইন-জারি

৬ ঘণ্টা বাকবিতণ্ডার পরও ইওলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

৬ ঘণ্টা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরেও দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দেশটির পুলিশ। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নেয়ায় গেল ডিসেম্বরের পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন ইওল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। পরপর ৩ বার আদালতের সমন উপেক্ষা করলে শুক্রবার সকালে মধ্য সিউলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জড়ো হয় পুলিশ।

ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই দল

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে এবার পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই দল। আদালতের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলেছেন ইওলের আইনজীবী। তার পক্ষে বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, তাকে আরও আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে হাজারও মানুষ

অভিশংসিত হওয়ার সাত দিন গেলেও সাংবিধানিক আদালত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় গভীর হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট। ইউন সুক ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে হাজারও মানুষ। সাংবিধানিক আদালতকে দ্রুত রায় দেয়ার দাবি অভিশংসনের পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলনকারীদের। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ক্ষমতায় রাখা-না রাখার সিদ্ধান্ত দ্রুতই হওয়া উচিত বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে ইউন সুক ইওলের ভাগ্য

আইন প্রণেতাদের ভোটে পার্লামেন্টে অভিশংসিত হলেও সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভাগ্য। ইতিমধ্যে হাল না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন ইউন সুক ইওল। এ অবস্থায় পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার পর যত না খুশি হয়েছেন, তারচেয়ে বেশি অস্থিরতা কাজ করছে বিরোধী নেতাদের মাঝে। তাই অতিদ্রুত তার অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্নে জোরালো দাবি উঠেছে।

শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্টের

তদন্ত কিংবা অভিশংসন, যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেনো, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা ইউন সুক ইওলের। গণতন্ত্র রক্ষায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল বলেও দাবি তার। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য ক্ষমতাসীন দল পিপিপি প্রধানের। আগামীকাল (শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন প্রস্তাবের বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। যেখানে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইওলের দলের আইনপ্রণেতারাও।

জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

সামরিক আইন জারির জন্য জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। আজ (শনিবার, ৭ ডিসেম্বর) টেলিভিশন ভাষণে তিনি জানান, আবারও মার্শাল ল জারির কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় ক্ষমতাসীন দল

দেশের সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টকে দ্রুতই বরখাস্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল পিপিপি'র প্রধান। তবে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির দিন দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির ষড়যন্ত্র করছেন ইয়ুন সুক ইওল, এমন অভিযোগ তুলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা। যদিও অবৈধ নির্দেশনা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইনপ্রণেতাদের অভিশংসনের প্রস্তাব

কোনো জরুরি অবস্থা ছাড়াই দেশে সামরিক আইন জারি করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তুলেছেন পার্লামেন্টের বিরোধী আইনপ্রণেতারা। এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে আগামী ৬ থেকে ৭ ডিসেম্বর। মঙ্গলবারের (৩ ডিসেম্বরের) ঘটনায় ক্রমেই দেশজুড়ে জোরালো হচ্ছে ইয়োলের পদত্যাগের দাবি। বিরোধীরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা উস্কে দিতেই দেশে হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেছিলেন তিনি।

মার্শাল ল নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক

কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি বা আলোচনা ছাড়াই দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নেয়ায় দেশ ও দেশে বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়, ঠিক কী কারণে সামরিক আইন জারির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রের কাছেও সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রত্যাশিত।

তোপের মুখে মার্শাল ল' প্রত্যাহার, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ

তোপের মুখে মার্শাল ল' প্রত্যাহার, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যরা। এই রায়ে বাতিল হয় সামরিক আইনের প্রস্তাব। এর আগে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আচমকাই দেশজুড়ে মার্শাল ল' জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। এর পরপরই ডাকা পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাবে সম্মত হন ১৯০ জন সংসদ সদস্য। সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত বাতিলের পর ইউন সুক ইউলের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি

দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। স্থানীয় সময় আজ (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর) রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'বিরোধীদলের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট ফোর্সেসের ঝুঁকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে মার্শাল জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।' স্বাধীনতার প্রশ্নে দক্ষিণ কোরিয়া যে কোনো প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল।