এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই দল

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে এবার পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই দল। আদালতের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলেছেন ইওলের আইনজীবী। তার পক্ষে বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, তাকে আরও আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মার্শাল ল জারি নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর প্রেসিডেন্টের পদ হারাতে হয় দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা ইউন সুক ইওলের। সংসদে দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় অভিশংসিত হন তিনি। পরে সামরিক আইন জারির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি তার। বিচারকাজ চালানোর জন্য তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায় তদন্ত কমিটি।

তাদের অনুরোধের একদিন পরই সিউলের একটি আদালত ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। যা দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো দায়িত্বরত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত হলো। তবে কী কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনাকে অবৈধ বলছেন ইওলের আইনজীবী। তার দাবি, সংবিধান মেনেই তিনি সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ইউন সুক ইওলের আইনজীবী ইউন ক্যাপ কিউন বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এরকম একটি বেআইনি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় কিনা। এটি দেশের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ এবং আমরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।’

আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ করেছে বিরোধীরা। সিউলে তার বাসভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে সমবেত হন তারা। দেশটির বাসিন্দারা বলছেন, ইওলকে তার অপকর্মের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। তিনি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাকে আরও আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

এদিকে, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলের শত শত সমর্থক রাজধানী সিউলের রাস্তায় বিক্ষোবভে নামেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের নেতাকে অহেতুক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করেননি।

গেল ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র প্রতিবাদের মুখে ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন ইউন সুক ইওল। এই জেরে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয় তাকে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে।

এএইচ