দেশে এখন
দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে পিছিয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার প্রবাসীরা দেশের বার্ষিক রেমিট্যান্স আয়ে ১১ শতাংশ যোগান দিলেও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে পিছিয়ে এই উপজেলা। সন্দ্বীপের প্রায় ২৫ ভাগ মানুষ প্রবাসী হলেও এখানে বিদেশগামীদের জন্য নেই আধুনিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। প্রায় দুই বছর আগে চালু হওয়া জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও নেই জনবল।

প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে সন্দ্বীপবাসীর জীবনমানে যতটা পরিবর্তন এসেছে। দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে ঠিক যেন ততটাই পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদ। দেশব্যাপী যেখানে বিদেশগামীদের দক্ষতা তৈরিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, ঠিক তখন বিএমইটির একমাত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে। ৮৫ জনের বিপরীতে জনবল মাত্র ৯ জন।

চালুর প্রায় দু'বছর পরও ততটা সাড়া পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এখনও প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন না কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক শিক্ষার্থী। বিএমইটির একমাত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মাত্র ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। অন্য দেশে কাজে যাওয়ার আগে কারিগরি প্রশিক্ষণ নেয়ার আহবান জানান সাবেক প্রবাসীরা।

এক প্রবাসী বলেন, ‘আমি যখন কাতার যাই, তখন চট্টগ্রাম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এখন আমাদের সন্দ্বীপে ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছে, যারা বিদেশ যেতে আগ্রহী তারা এখান থেকে ট্রেনিং নিতে পারবেন।’

বিদেশগামীদের তিন দিনের ট্রেনিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম না গিয়ে সন্দ্বীপ বিএমইটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসার আহবান জানান প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। এছাড়া এখানে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সন্দ্বীপ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার আগে সব ধরনের প্রস্তুতি এখান থেকে গ্রহণ করা যাবে। আর আমরা এখানেই ফিঙ্গার দেয়ার ব্যবস্থা করছি।’

সন্দ্বীপের সংসদ সদ্স্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ‘এখানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানে যে জনবল সংকট রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় পঞ্চাশ দশকে এই জনপদের বাসিন্দারা দ্বীপান্তর হতে শুরু করেন। বর্তমানে চার লাখ মানুষ সন্দ্বীপ বসবাস করলেও আরও আট লাখের বেশি সন্দ্বীপবাসী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করেন। ধারণা করা হয় ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর শ্রমবাজারনির্ভর বিভিন্ন দেশে এ জনপদের অন্তত তিন লাখ মানুষ কর্মরত আছেন।

এওয়াইএইচ