আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

বাজারে চালের দাম সহনীয় হবে বলে আশা খাদ্য উপদেষ্টার

সরকারি পর্যায়ে এ বছর চাল আমদানি হবে মোট আট থেকে নয় লাখ টন। ফলে বাজারে চালের দাম সহনীয় হবে বলে আশা খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের। চট্টগ্রাম বন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা সরকারি চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শনে করে এ কথা জানান তিনি। গেল বছর কোনো চাল আমদানি না হলেও এ বছর বন্যায় আমনের ফলন কম হওয়ায় বিপাকে পড়ে সরকার। দফায় দফায় বাড়তে থাকে চালের দাম।

তাই এক বছর পর সরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। শুরুতে ছয় লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হলেও চালের দামে লাগাম টানতে এখন তা বাড়িয়ে নয় লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে। এরইমধ্যে ভারত থেকে দু'টি চালানে ৫২ হাজার টন চাল এসেছে। গত ১৭ জানুয়ারি গোল্ডেন স্টার জাহাজে মিয়ানমার থেকেও আসে চালের দ্বিতীয় চালান। জানুয়ারিতে আসবে আরও এক লাখ ২০ হাজার টন।

চট্টগ্রাম বন্দরে চাল খালাসের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে খাদ্য উপদেষ্টা জানান, বন্যায় আমন ধানের উৎপাদন কম না হলে চাল আমদানির প্রয়োজন হতো না। তবে ঘাটতি যেন না হয় এজন্য সরকার চাল আমদানি অব্যাহত রাখবে। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে রোহিঙ্গা ও শেখ হাসিনা ইস্যুতে টানাপড়েন থাকলেও বাণিজ্যে সেটি বাধা হবে না। দুই দেশের সাথেই বাণিজ্য হচ্ছে আগের মতো। মিয়ানমারের সাথে এক লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির চুক্তি হলেও তারা আরও রপ্তানিতে আগ্রহী।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, 'বাণিজ্যকে আমরা রাজনীতির সাথে মিলাচ্ছি না। ভারত যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি। এবং ওখান থেকে আমদানি খরচ তুলনামূলক কম। পাশাপাশি মিয়ানমার চাল বিক্রি করার পর তারা আমাদের কাছে আরও চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। প্রতি উপজেলায় দুই মেট্রিকটন করে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে এই মাস থেকে। এটা কিন্তু রমজান মাসেও থাকবে। এর সাথে সারাদেশে ৫০ লাখ লোকের জন্য একটা কর্মসূচি আছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। ৫০ লাখ লোক মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে।'

ইতিমধ্যে বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ ও নগরায়ণের ফলে ধানী জমি কমে যাওয়ায় উৎপাদন বাড়াতে কম সময়ে অধিক ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা চালানো হচ্ছে। টিসিবি'র ব্যাপক প্রস্তুতি এবং রমজানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়ার কারণে সব নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

চাল খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত শিপিং এজেন্ট জানান, ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসবে চার লাখ মেট্রিকটন চাল। এসব চাল চলে যাবে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের খাদ্য গুদামে।

ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানি করছে সরকার।

এসএস