গত কয়েকদিন ধরে চলা কানাডা ও মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ মার্কিন শুল্কারোপের ঝড় এবার কিছুটা স্থবিরের পথে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ক্ষমতা গ্রহণের দিনই নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর চীনের ওপর হবে ১০ শতাংশ। মঙ্গলবার থেকে যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে সহজভাবে নেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কারোপের পাল্টা জবাবে মার্কিন পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেন তিনি। আর ট্রুডোর এই পথ চলায় একাত্মতা ঘোষণা করেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেনবামও।
এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। আশঙ্কা দেখা দেয় বাণিজ্য যুদ্ধের। তবে সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে সোমবার রাতেই ৩০ দিনের জন্য কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিতের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দুই বার ফোনে কথা বলে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান তিনি।
সেসময় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে চুক্তিতে রাজি হন দুই দেশের নেতা। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করবে কানাডা। সেই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে মাদকের অবাধ প্রবেশ। একই চুক্তিতে রাজি হয়েছে মেক্সিকো প্রেসিডেন্টও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ট্যারিফ খুব শক্তিশালী। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে বেশ লাভবান হওয়া যায়। এবং এক্ষেত্রে কোন দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ধারে কাছে নেই। কারণ আমরা সবার উপরে। যদি শুল্কারোপের এ সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়ন না করতে পারি, তবে একসময় সবার উপরে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।’
কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ কিছুটা শীতল হলেও প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে চীন।