
চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
শুল্কারোপ প্রত্যাহার না করলে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও শুল্ক যুদ্ধের পূর্বাভাস আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বেইজিংয়ের জন্য। ইইউর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সম্ভাবনার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দরপতনে চাঙ্গা হতে পারে চীনের স্থানীয় অর্থনীতি।

'যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে'
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপে ভয় বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।'

মার্কিন শুল্কারোপ: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কারোপ ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন অর্থ এবং বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ ৩ জন উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিডার চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ও আমদানি-রপ্তানি বিশেষজ্ঞরা।

দুইদিনে ৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্বাভাবিক শুল্কারোপ ঘোষণার পর টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। গেলো দুদিনে ৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট। যা ২০২০ সালের করোনা মহামারির পর সর্বোচ্চ।

ট্রাম্পের শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১শ' বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল
অর্থনীতিবিদদের অভিমত
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অমান্য করে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কারোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১শ' বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত বলে মত অর্থনীতিবিদদের। যা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে নিয়ে যাবে অনিশ্চয়তার দিকে।

নিম্নমুখী মার্কিন ডলারের মান, বাণিজ্য যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার ইঙ্গিত
বিভিন্ন দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের কারণে ২০২০ সালের পর সবচেয়ে খারাপ দিন দেখলো যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার। বিশ্বব্যাপী কমেছে মার্কিন ডলারের মান। যা বাণিজ্য যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শুল্কারোপের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুল্কারোপের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্কারোপ: অনিশ্চয়তার মুখে ভারতের ওষুধ শিল্প!
ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক যুদ্ধের প্রভাবে অনিশ্চয়তার মুখে ভারতের ওষুধ শিল্প। যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত শুল্কের তালিকায় ভারতীয় ওষুধ না রাখলেও মার্কিন ওষুধ আমদানিতে প্রায় ১০ শতাংশ শুল্ক বিদ্যমান রেখেছে ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপ ঠেকাতে ওই ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান দেশটির ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্টদের।

এই শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগের দ্বার খুলে দেবে: ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ চীনের পণ্যে ৩৪ শতাংশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন তিনি। ভারতের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছে ২৬ শতাংশ। এছাড়াও অর্থনীতিতে জরুরি অবস্থা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে ঢালাওভাবে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন তিনি। যা ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। নতুন ঘোষিত শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগের দ্বার খুলে দেবে, এমনটাই দাবি করছেন ট্রাম্প।

'যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমাত্রার শুল্কারোপে তৈরি পোশাকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে'
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমাত্রার শুল্কারোপে তৈরি পোশাকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যখন শুল্কমুক্তের আলোচনা চলছিল, তখন ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বড় ক্ষতির মধ্যে ফেলবে।'

বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক দিয়ে বিশ্বব্যাপী আমদানি পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ এবং ইইউর ওপর ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কারোপের চিন্তা করছেন ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় আকারের নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কারোপের চিন্তা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে এই পোস্টের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করা সহজ। এদিকে মস্কোর দাবি, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণে বাধা তৈরি করতে পারবে না।