মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার প্রত্যাশা ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননের

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইউরোপ আমেরিকায় নতুন বছরকে বরণ করে নিলেও ভিন্ন চিত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত তিন দেশ ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননে। নতুন বছরে জাঁকজমকপূর্ণ কোনো আয়োজন না থাকলেও সবার প্রত্যাশা, যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি বিশ্বে ফিরবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা।

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর পুরোনো সব বেদনা দুঃখ ভুলে নতুন বছরে আনন্দ ও গল্পের সূচনা।

রাজধানী দামেস্কে জমকালো কোনো আয়োজন না থাকলেও ভয়-ডরহীন ভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানান সিরিয়ানরা। পরিবার পরিজন নিয়ে রেস্টুরেন্টে সময় কাটানোর পাশাপাশি অনেকেই করছেন কেনাকাটা। নতুন বছর হবে শান্তি ও সমৃদ্ধির এমন প্রত্যাশা সকলের।

নতুন বছরে বেশিরভাগ মানুষ কোনো পার্টি করেননি। আমাদের অর্থনৈতিক মন্দা রয়েছে, সবাই সতর্ক। বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছর উদযাপন করে।

পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। এখন নিরাপত্তা রয়েছে, যদিও কিছুটা ভয় রয়েছে।

পরিবার নিয়ে আমরা বাড়িতেই নতুন বছর উদযাপন করবো। আশা করছি আগামী বছরগুলোতে সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। আমরা আশাবাদী নতুন বছর ভাল হবে।

নতুন বছরে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় নেই কোনো আনন্দ-উৎসব। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কষ্টের মাত্রা বাড়িয়েছে আরও। বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশিরভাগ তাঁবু, যা মেরামত করতেই হিমশিম অবস্থা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের। মাথা গোজার ঠাঁই টিকিয়ে রাখতে চলছে সংগ্রাম।

আমরা খাবার, বস্ত্রের অভাব নিয়েই শীতের মধ্যে বসবাস করছি। যুদ্ধের কারণে তিনটি এলাকা ছেড়েছি। আমরা এখনও জানি না আমাদের ভাগ্য কী আছে, পরবর্তীতে আবার কোথায় যাবো।

গত বছরে অনেক কঠিন সময় পার করে। আশা করছি নতুন বছর আরও ভাল কিছু নিয়ে আসবে। আমরা যুদ্ধের অবসান চাই, আমরা নিরাপদে এবং শান্তিতে আমাদের বাড়িতে ফিরতে চাই। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন করতাম, কিন্তু এখন সে সবই আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও একটি বছর কেটে গেল, নতুন বছর শুরু করছি। আশা করছি আমরাও ভালোভাবে বাঁচতে পারব, অন্যান্য দেশের মানুষের মতো। আমরা তাদের মতো বাঁচার আশা করি।

এদিকে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন ও হিজবুল্লাহর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্যেই আতঙ্কে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে লেবাননের বাসিন্দারা। রাজধানী বৈরুতে সাদামাটা আয়োজন থাকলেও ভাটা পড়েছে হোটেল রেস্টুরেন্টসহ পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যে।

এক বাসিন্দা জানান, যুদ্ধের আগে ব্যবসা বাণিজ্য অনেক ভাল ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের কাজ বন্ধ, নিরাপত্তাহীনতায় কেউ আমাদের দেশে আসতে চায় না।

আরেকজন জানান, আমরা সারা বছর ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু এ বছর সবকিছুতে ভাটা। আশা করছি নতুন বছর আমাদের বড় পরিবর্তন হবে।

নতুন বছরে বাতাসে বারুদের গন্ধ ভুলে লেবাননে ফিরবে শান্তি ও ঐক্য এমন প্রত্যাশা সকলের।

এএইচ