শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার প্রত্যাশা ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননের
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইউরোপ আমেরিকায় নতুন বছরকে বরণ করে নিলেও ভিন্ন চিত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত তিন দেশ ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননে। নতুন বছরে জাঁকজমকপূর্ণ কোনো আয়োজন না থাকলেও সবার প্রত্যাশা, যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি বিশ্বে ফিরবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা।
তালিবানের মতো শাসন পরিচালনা করা হবে না সিরিয়ায়
আফগানিস্তান ও সিরিয়ার সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই তালিবানের মতো শাসন পরিচালনা করা হবে না সিরিয়ায়। এমনকি নিশ্চিত করা হবে নারীদের শিক্ষা ও মানবাধিকার। স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন আবু মোহাম্মাদ আল জুলানি। সিরিয়া ও এইচটিএসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও পশ্চিমাদের কাছে আহ্বান জানান গোষ্ঠীটির প্রধান। এদিকে আগ্রাসনের মধ্যে সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশের ৯৫ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে ইসরাইল।
সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করবে তুরস্ক ও লেবানন
আসাদ সরকার পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও লেবানন।
সিরিয়ায় ফিরছেন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো শরণার্থী
৫০ বছর আসাদ পরিবারের বর্বর স্বৈরশাসন আর ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়া এখন মুক্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত হলেও স্বাধীন দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিরিয়ার লাখো শরণার্থী। লেবানন, তুরস্ক আর জর্ডান সীমান্তে ঢল নেমেছে শরণার্থীদের। গৃহযুদ্ধের সময় পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীরাও আসতে চাইছেন স্বৈরশাসনমুক্ত নিজের মাতৃভূমিতে। যদিও সরকারের পতন ঘটানো হায়াত তাহরীর আল শামের নেতৃত্ব আর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো দূর হয়নি অভিবাসীদের শঙ্কা।
কল্পনায় নয়, বাস্তবেই বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে ব্রিকস
চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য
বিশ্বের প্রগতিশীল জোটগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোর জোট ব্রিকস। পাঁচ দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করছে বিশ্বের উন্নয়নশীল অনেক দেশ। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আর্থিক ও লেনদেন ব্যবস্থায় ডলারের আধিপত্য কমাতে অক্টোবরের সম্মেলনে পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে চীন। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থায় ডলারকে পেছনে ফেলে ব্রিকসের প্রভাব থাকতে পারে উল্লেখযোগ্যহারে।
ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে মিয়ানমার
ভারি বৃষ্টি থেকে মিয়ানমারের রাজধানীসহ আশপাশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে বন্যা আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলেছে জনজীবন।