পিটিআই নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের সমর্থকদের স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল পাকিস্তান। দেশটিতে নতুন করে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
গতকাল (শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি) আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও উভয়কেই আলাদা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করায় রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় নেমে ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেন পিটিআই সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। ১৯ কোটি পাউন্ডের এ দুর্নীতির মামলায় রায়ের দিন জামিনে থাকা ইমরান খানের স্ত্রীকে ফের পুলিশি হেফাজতে নেয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে পিটিআই শিবিরে।
ইমরান খানের বোন আলিমা খানম বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। পাকিস্তানের সবাই এটা জানে। এই রায় খুবই হাস্যকর।’
এর মধ্য দিয়ে ২০২২ সাল থেকে রাজনৈতিক সংকটে ডুবে থাকা পাকিস্তানে আগুনে ঘি ঢালার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এতে ইমরান খানকে কারামুক্তির আন্দোলন আরও জোরালো ও সহিংস হয়ে ওঠার আশঙ্কাও করেন তারা। অন্যদিকে, কারাগারে বন্দি রেখে ইমরান খানের ওপর চালানো এমন রাজনৈতিক নিপীড়ন আর সহ্য করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পিটিআই নেতারা।
পিটিআই'র চেয়ারম্যান গওহর আলী খান বলেন, ‘খান সাহেব কোনো ভুল করেন নি। তিনি কোনো অপরাধ করেননি। কেবল তার উপর চাপ সৃষ্টির জন্য কারাগারে রেখে রাজনৈতিকভাবে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। আমরা এই রায় এবং সাজার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবো। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০০টি মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি সংক্রান্ত আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান ও বুশরাকে অভিযুক্ত করা হয়।
ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখতেই একের পর এক মামলা ও সাজা ঘোষণার মধ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইমরান খানকে কারাগারে বন্দি রাখার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পিটিআই'র ।