দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে হাজারও মানুষ
অভিশংসিত হওয়ার সাত দিন গেলেও সাংবিধানিক আদালত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় গভীর হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট। ইউন সুক ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে রাজপথে হাজারও মানুষ। সাংবিধানিক আদালতকে দ্রুত রায় দেয়ার দাবি অভিশংসনের পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলনকারীদের। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ক্ষমতায় রাখা-না রাখার সিদ্ধান্ত দ্রুতই হওয়া উচিত বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
তাইপে সীমা লঙ্ঘন করলে বেইজিং বসে থাকবে না!
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনা আধিপত্য ও সামরিক মহড়া বাড়তে থাকায় চলতি ডিসেম্বরে একাধিকবার বেইজিংয়ের দিকে আঙুল তুলছে তাইপে। যদিও তাইওয়ানের অভিযোগ আমলে না নিয়ে চীন বলছে, তাইপে তার সীমা লঙ্ঘন করলে বেইজিংও চুপ করে বসে থাকবে না। সামরিক মহড়া বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বেইজিংই। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে তাইপের নতুন মাথাব্যথার কারণ তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধোঁয়াশাপূর্ণ অবস্থান।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। চলতি সপ্তাহেই ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে অপেক্ষা আরো ছয় মাসের
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওলই থাকছেন, না নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন নেতৃত্ব আসছে, তা জানতে সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে আরো ৬ মাস। এর মধ্যে বিরোধী দল লিবারের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল ক্ষমতায় আসলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি দূরত্ব বাড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে ইউন সুক ইওলের ভাগ্য
আইন প্রণেতাদের ভোটে পার্লামেন্টে অভিশংসিত হলেও সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভাগ্য। ইতিমধ্যে হাল না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন ইউন সুক ইওল। এ অবস্থায় পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার পর যত না খুশি হয়েছেন, তারচেয়ে বেশি অস্থিরতা কাজ করছে বিরোধী নেতাদের মাঝে। তাই অতিদ্রুত তার অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্নে জোরালো দাবি উঠেছে।
অ্যান্ড্রয়েড এক্সআর হেডসেট আনছে স্যামসাং
অ্যান্ড্রয়েড ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ডিভাইসের জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের এক্সটেন্ডেড রিয়ালিটি (এক্সআর) হেডসেট বাজারে আনতে যাচ্ছে। যার কোডনেম রাখা হয়েছে ‘মোহান’।
শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্টের
তদন্ত কিংবা অভিশংসন, যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেনো, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা ইউন সুক ইওলের। গণতন্ত্র রক্ষায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল বলেও দাবি তার। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য ক্ষমতাসীন দল পিপিপি প্রধানের। আগামীকাল (শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন প্রস্তাবের বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। যেখানে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইওলের দলের আইনপ্রণেতারাও।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়। মার্শাল ল' জারির ব্যর্থ চেষ্টার জেরে এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা।
জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
সামরিক আইন জারির জন্য জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। আজ (শনিবার, ৭ ডিসেম্বর) টেলিভিশন ভাষণে তিনি জানান, আবারও মার্শাল ল জারির কোনো পরিকল্পনা নেই তার।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় ক্ষমতাসীন দল
দেশের সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টকে দ্রুতই বরখাস্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল পিপিপি'র প্রধান। তবে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির দিন দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির ষড়যন্ত্র করছেন ইয়ুন সুক ইওল, এমন অভিযোগ তুলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা। যদিও অবৈধ নির্দেশনা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইনপ্রণেতাদের অভিশংসনের প্রস্তাব
কোনো জরুরি অবস্থা ছাড়াই দেশে সামরিক আইন জারি করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তুলেছেন পার্লামেন্টের বিরোধী আইনপ্রণেতারা। এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে আগামী ৬ থেকে ৭ ডিসেম্বর। মঙ্গলবারের (৩ ডিসেম্বরের) ঘটনায় ক্রমেই দেশজুড়ে জোরালো হচ্ছে ইয়োলের পদত্যাগের দাবি। বিরোধীরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা উস্কে দিতেই দেশে হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেছিলেন তিনি।
মার্শাল ল নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক
কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি বা আলোচনা ছাড়াই দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নেয়ায় দেশ ও দেশে বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়, ঠিক কী কারণে সামরিক আইন জারির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রের কাছেও সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রত্যাশিত।