ইউন-সুক-ইওল

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। চলতি সপ্তাহেই ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে ইউন সুক ইওলের ভাগ্য

আইন প্রণেতাদের ভোটে পার্লামেন্টে অভিশংসিত হলেও সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভাগ্য। ইতিমধ্যে হাল না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন ইউন সুক ইওল। এ অবস্থায় পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার পর যত না খুশি হয়েছেন, তারচেয়ে বেশি অস্থিরতা কাজ করছে বিরোধী নেতাদের মাঝে। তাই অতিদ্রুত তার অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্নে জোরালো দাবি উঠেছে।

অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক

অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। মার্শাল ল' জারির ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগে পার্লামেন্টে তার অভিশংসনের পক্ষে শনিবার ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা। আপাতত তাকে বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ইওলকে স্থায়ীভাবে অপসারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক আদালত, যাতে লেগে যেতে পারে কয়েক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস সময়।

শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্টের

তদন্ত কিংবা অভিশংসন, যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেনো, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা ইউন সুক ইওলের। গণতন্ত্র রক্ষায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল বলেও দাবি তার। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য ক্ষমতাসীন দল পিপিপি প্রধানের। আগামীকাল (শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন প্রস্তাবের বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। যেখানে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইওলের দলের আইনপ্রণেতারাও।

উ. কোরীয় গোয়েন্দাদের মাধ্যমে ইউন সুকের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা

জরুরি কোনো পরিস্থিতি ছাড়াই দেশে সামরিক শাসন জারি করে বিতর্কিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আর কিছুদিন মাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের শঙ্কা, ইউন সুক ইওলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে উত্তর কোরীয় গোয়েন্দাদের প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতো নেয়া এই সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই, পাশাপাশি এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ পেয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও চীন।