বছরের শুরুতে ডুবতে বসা লিবারেল পার্টিকে রীতিমতো একাই তুলে আনলেন মার্ক কার্নি। তার নেতৃত্বের ওপরই ভরসা করে জন-রায় দিলেন কানাডিয়ানরা। কনজারভেটিভ পার্টির থেকে বেশ কিছু আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে লিবারেলরা।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যে ১৭২ আসন প্রয়োজন, তা থেকে অল্প কিছু দূরে রয়ে গেছে তারা। এতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আপস করতে হবে মার্ক কার্নিকে। তবে সরকার পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে কথা বলবেন না, সাফ জানিয়ে দেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন দ্রুতই। সেখানে শুল্ক ইস্যুর সুরাহা না হলে, বিকল্প ভাববে অটোয়া।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি চায়, আমাদের সম্পদ, পানি এমনকি পুরো দেশ দখল করতে চায়। এটা তাদের হুমকি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করেছেন, যেন তারা সফল হয়। কিন্তু তারা কখনোই সফল হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’
আরো পড়ুন:
কনজারভেটিভ পার্টি সরকার গঠন করতে না পারলেও, তারা শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকার চালানো বেশ কঠিনই হবে, মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফলাফল ঘোষণার পর দলটির নেতা পিয়ের পলিয়েভ বলেন, পরিবর্তনের যে ডাক তারা দিয়েছিলেন, তা অব্যাহত রাখবেন। জারি থাকবে বিতর্ক, যেন কানাডিয়ানদের স্বার্থ হাসিল হয়।
কনজারভেটিভ নেতা পিয়ের পলিয়েভ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, তিনি মাইনোরিটি সরকার গঠন করছেন। আমরা এই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় রাখতে সব সময় বাধ্য করবো।’
মার্ক কার্নি কানাডার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে অভিবাসীদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশিদের আশা, অভিবাসনবান্ধব হবে কার্নির নেতৃত্বের সরকার। অর্থনীতিবিদ হওয়ায় তার সিদ্ধান্তে আস্থাও বেশি জনসাধারণের।