গত বছরের ২০ জুলাই গুলিতে নিহত জুতা কারখানার শ্রমিক সজল মিয়ার (২০) মা রুনা বেগম বাদী হয়ে চলতি বছরের ১৬ মে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ এর সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যু নিয়ে সারা বাংলাদেশে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার ছেলেও যোগ দেয়। সেই মামলার ১ থেকে ৬ নং আসামিদের নির্দেশে এজাহারে উল্লেখিত অন্য আসামীরাসহ ১০০- ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামিদের হাতে-থাকা দা, ছেনি, লাঠি-সোটা, দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, ও ইট পাটকেল দিয়ে গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে।
এসময় আমার ছেলে সজল মিয়া পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে দেশের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ময়নাতদন্ত না করে আমার ছেলের মৃতদেহ দ্রুত গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় শেখ হাসিনা, ওবাইদুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডা. সেলিনা হায়াত আইভীদের প্ররোচনায় এবং শামিম ওসমান, আজমেরি ওসমান ও অয়ন ওসমানদের উপস্থিতিতে ও তাদের নির্দেশে আসামিরা ছাত্র-জনতাকে মারপিটসহ গুলি করে হত্যা করে।
উল্লেখ্য মামলার ১ থেকে ৬ নং আসামিদের পাঁচ জনই পলাতক থাকায় এখনো তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গত ৯ মে ভোরে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ সিটির সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।