চলতি বছরের শুরুতে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলে সূচক হারিয়ে লেনদেন কমে দুর্বল হতে শুরু করে পুঁজিবাজার। পরে একদিনে শেয়ারদর সর্বনিম্ন তিন শতাংশ কমার সার্কিট ব্রেকার বসিয়ে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এতে ধীরে ধীরে কিছুটা গতি আসে শেয়ারবাজারে।
বর্তমানে বাজারে সূচকের কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন রয়েছে তলানিতে। বেশিরভাগ দিনে লেনদেন হচ্ছে হাজার কোটির নিচে। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সূচকের পতনে শেষ হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। এ দিন প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬৬ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। আর লেনদেন আগের দিন থেকে কিছুটা কমে হয়েছে ৯৬৮ কোটি ২ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারের এমন সংকট কাটিয়ে উঠতে আজ আলোচনায় বসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাজারে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সংগঠন সিইও ফোরাম। আলোচনায় করনীতি এবং শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানি তালিকাভুক্তি নিয়ে আলাপ হয়।
সমস্যা সমাধানে বিএসইসি'র সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছে ডিএসই চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে কোনো কৃত্রিম নীতি বা আইন ছাড়াই পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, 'নরমাল পুঁজিবাজার যদি রান করতে পারে। বাজার আজকে খারাপ হবে আগামীকাল ভালো হবে। পুঁজিবাজারের নেচারটাই কিন্তু এমন হবে। আজকে যদি পুঁজিবাজার পড়ে যায় আর কালকে যদি আমরা কোনো আইনের ধারাবহিকতায় সেটাস যদি বন্ধ করার চেষ্টা করি সেটা কিন্তু সাস্টেইনেবল ক্যাপিটাল মার্কেট হবে না।'
স্বাধীনভাবে কাজ করতে ও অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের কথাও জানান তিনি।
যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো সমাধান হলে বাজার উন্নতির দিকে যাবে বলে আশা করছেন সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, 'ট্যাক্সের কাঠামো বর্তমানে যেটা আছে, সেটা আমাদের জন্য কতটা ইফেক্টিভ আর এটাকে যদি মডিফাই করা হয়, কি ধরনের মডফাই আসলে বাজারের জন্য পজিটিভ হয়। এটা আমাদের গবেষণা অনুযায়ী আমরা চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।'
আগামী দিনে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে একসাথে কাজ করার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।