পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে খায়রুল ও শিবলী চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সহযোগিতার প্রমাণ পেয়ে এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান কমিশন। এছাড়া ১২টির মধ্যে ৭টি কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদনে বিএসইসির আরো কিছু কর্মকর্তার নাম থাকায় শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর প্রতিবাদে গত বুধবার চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে ৬ তারিখ কর্ম বিরতিও পালন করেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার ডিএসই সিএসইসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা জানান তারা। এসময় কমিশনকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টার নিন্দা জানান সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কমিশনের কোনো সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ হয় আইন ও নিয়ম মেনে তাদের কমিশনের কাছে বা সরকারের কাছে আবেদন করার বিধান রয়েছে। এমনকি ওনারা চাইলে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই একটি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানে
বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দাবি আদায়ের প্রচেষ্টা করা হয়েছিল সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়, আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।’
তবে বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে নির্দোষ কর্মকর্তারা যেন শান্তি না পান তা নিশ্চিত করতে কমিশনকে অনুরোধ জানান প্রতিনিধিরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ যদি দোষী থাকে আমাদের কমিশনের কাছে চেয়ারম্যান নিবেদন করেছেন যেন কারো প্রতি অবিচার না করা হয়। যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কমিশন অবশ্যই দোষ খুঁজে পেয়ে মামলা করেছেন। কিন্তু আমরা দাবি জানিয়েছে নির্দোষ কাউকে যেন সাজা না দেয়া হয়।’
পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান জানান, কর্মকর্তাদের আগেই কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সাথে যারা কাজে যোগ দেবেন তাদের নিয়ে একসাথে কাজ করে এগিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের যারা কর্মচারী তারা ফেরত আসছেন। আমরা গতদিনও বলেছি সবাইকে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছি। এবং সবাই যোগদান করলে যেভাবে কাজ করার সেভাবে এগিয়ে যাব।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা না হারানোর অনুরোধ জানান বাজার মধ্যস্থতাকারীরা।