বৈশ্বিক সূচকে দেশের মোট জিডিপিতে পুঁজিবাজারে মূলধনি অবদান ৮ থেকে ১২ শতাংশে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানে প্রায় ১০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১৫, ভিয়েতনামে ৪১, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৪, থাইল্যান্ডে ৯১ ও ভারতে ১২০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হলেও ২০১০-১১তে কেলেঙ্কারির পর নানা অদক্ষতায় গত এক যুগে ঘুরে দাঁড়ায়নি এ খাত।
এনবিআর বলছে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি করছাড় পায় শেয়ারবাজার, যা করপোরেট করছাড়ে সর্বোচ্চ। এ অবস্থায়, আগামী বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন কমানোসহ নানা দাবি নিয়ে প্রাক বাজেটে হাজির হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। দাবি শুনে চটে যান এনবিআর চেয়ারম্যান। বলেন, করছাড় দিলেও মেলেনি কোনো সুফল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘আপনাদের দাবিটা খুবই ইনডিসেন্ট। ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মাফ, যেখানে লাভই হচ্ছেনা কারো, তাহলে আপনি বাজেটটা কাদের জন্য করতে চাচ্ছেন?যারা একটা পয়সাও ট্যাক্স দেবে না, শুধু লাভ করে নিয়ে যাবে।’
আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে আগামী বাজেটে নিজেদের নানা দাবি নিয়ে আরও হাজির হয় ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। সব পক্ষের দাবিদাওয়া ঘুরেফিরে করছাড়ের দিকে।
এসময় আগামী বাজেটে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও আবগারি শুল্ককে বিবেচনায় রাখা হবে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকদের সুবিধা রক্ষা ও বাজারে অবদান রাখে এমন কোম্পানি ব্যতীত কেউ ছাড় পাবে না আগামী বাজেটে। কর অব্যাহতি থেকে ধাপে ধাপে পুরোপুরি সরে আসবে সরকার।
আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিটা জায়গায় একটাই কথা কর অব্যাহতি লাগবে, এই জায়গা থেকে আমাদের বের হতে হবে। আমরা এই এক্সামশন কালচারের সাথে আর থাকতে চাই না, এটা দিয়ে আমাদের তেমন কোনো লাভ হয়নি। সরকার কর অব্যাহতির এক সংস্কৃতি লালন করেছে, যার খেসারত আমরা এখন দিচ্ছি।’
আলোচনায় শেয়ারবাজার ধসে ইনভেস্টর কর্পোরেশনকেও দায়ী করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। আর বীমা খাতকে দায় দেন গ্রাহক ভোগান্তির।