আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ও ব্যাংক লোপাট ঠেকাতে গত দেড় মাসে ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব ব্যাংকেই দেয়া হয়েছে নতুন পর্ষদ। কিন্তু গত দেড় বছরে ব্যাংক খাত শূণ্য করে গেছে সাবেক আর্থিক কর্তৃপক্ষ। তাতে বেড়েছে ঋণ খেলাপি, সংকটে পড়ে ব্যাংকের তারল্য এছাড়াও অর্থপাচারে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে পুরো খাত।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। নানা উদ্যোগে এখন বাজেট সহায়তা ও ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ঋণ দিতে ইচ্ছুক দাতা সংস্থাগুলো। তারই প্রেক্ষিতে এক বিলিয়ন ডলার দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক। আজ গভর্নরের সাথে বৈঠকে ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী করা এবং গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে কারিগরি সহায়তা দিতে আশ্বাস দেন মার্টিন রাইজার।
বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, 'এটা এ দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমি উপদেষ্টার কাছ থেকে শুনে খুশি হয়েছি যে, তারা রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ব্যাংকিংখাতে কাঠামোগত সংস্কারের একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা এটাই আলোচনা করেছি, এই পদক্ষেপে বিশ্বব্যাংক তাদের কীভাবে সহায়তা করতে পারে।'
এদিকে ব্যাংক খাতের বেহাত হওয়া সম্পদ উদ্ধারে, টাস্কফোর্সের কারিগরি সহায়তা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্তিশালী করতে ঋণ দিতে ইচ্ছুক বিশ্বব্যাংক জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, 'কারিগরি সহায়তায় অর্থে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিশ্বব্যাংকের টাকার কথা প্রত্যাশা করছি। সেন্ট্রাল ব্যাংকে শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বব্যাংক টাকা দিবে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে টেকনিক্যাল এ্যাসিট্যান্স দিবে। যাতে করে স্টোলেন রিকভারিতে সফল হতে পারি।'
এদিকে এই অর্থের সুদের হার কি হবে তা নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা না হলেও তা আন্তর্জাতিক সুদের হারে পাবে বাংলাদেশ।