রেমিট্যান্স ফেয়ারে অতিথি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ অনুচররা এই আয়োজনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আছেন জেনে মেলায় অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিতর্কিত রেমিট্যান্স ফেয়ারে অংশ না নিলেও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে চিহ্নিত দেশগুলোতে ল ফার্ম নিয়োগ করা হচ্ছে। সফল হলে উদ্ধারকৃত অর্থের একটি অংশ দেয়া হবে ল ফার্মগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'মোটামুটিভাবে কারা টাকা নিয়ে গেছে, তাদের চিহ্নিত করে টাস্কফোর্সের আন্ডারে ১১টি টিম ইনভেস্টিগেশনের কাজ করছে।'
পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ' ব্যক্তিকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে ব্রিটিশ সরকারও।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'আমসাদের ইনভেস্টিগেটরদের সাথে বসে আন্তর্জাতিক মানের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট তৈরি করবে।'
গভর্নর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের আমলে কিছু কিছু ব্যাংকের ৯২ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন লুটপাট হয়েছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর উদ্যোগে ব্যাংক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বাড়ছে রিজার্ভও।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'এদের মধ্যে কিছু ব্যাংক যেগুলো দুর্বৃত্তায়নের পাল্লায় পড়েছিল। এবং একই মালিকানায় সাত-আটটা ব্যাংক এবং তিন-চারটা নন ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইত্যাদি চলে গিয়েছিল। সেগুলোর প্রতিটিকেই তারা নিঃস্ব করে দিয়ে গিয়েছিল। অনেকক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে তাদের ব্যাংকের যে পোর্টফোলিও তার ৯২ শতাংশ তারা নিয়ে চলে গেছে।'
এছাড়া কারা কারা অর্থ পাচার করেছে– সে বিষয়ে তথ্য দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. মনসুর।
তিনি বলেন, 'এখানে আপনাদের সহযোগিতাটা গুরুত্বপূর্ণ।'
দেশের টাকা উদ্ধারে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের প্রত্যাশা, দ্রুত পাচার হওয়া এই অর্থ দেশে ফেরত যাবে। আর আইনের আওতায় আসবে প্রকৃত দোষীরা।