আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
কোরবানির ঈদ ঘিরে মসলা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু
খাবার সুস্বাদু করতে মসলার কোন জুড়ি নেই। বাংলাদেশজুড়ে হরেক রকম মসলার ব্যবহার আছে। চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ প্রায় ২২টি দেশ থেকে প্রকারভেদে শতাধিক মসলা আমদানি করা হয়। ডলার সংকটের মধ্যেও এ বছর দেশে ৩২ হাজার টন মসলা আমদানি বেড়েছে। আর কোরবানির ঈদ ঘিরে এরই মধ্যে মসলা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সামনেই কোরবানির ঈদ, এই ঈদে ক্রেতা চাহিদার তুঙ্গে থাকে মসলা। রসনায় স্বাদ বাড়াতে নানা ধরনের মসলার ব্যবহার বাড়ে।

দেশের বাৎসরিক মসলার বাজার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। যার সিংহভাগ কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক, আর এ মসলার ৬০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। তাই এ সময় মসলা আমদানিতে ব্যস্ত সময় পার করেন ব্যবসায়ীরা।

২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মসলা আমদানি হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন, যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডলার সংকট থাকলেও বাড়ে মসলা আমদানি। আগের বছরের চেয়ে ৩২ হাজার টন বেড়ে আমদানি দাঁড়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার টনে, ব্যয় হয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দারচিনি প্রায় কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। গত মাসের তুলনায় প্রতি কেজি এলাচ প্রায় ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আস্তে আস্তে সব মসলার দামই বাড়বে।

মসলার পাশাপাশি কোরবানিতে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার কয়েকগুণ চাহিদা বাড়ে। এ বছর উৎপাদন বাড়ায় দেশি পেঁয়াজ বাজার দখলে রেখেছে। আর আদা ও রসুনের বাজার চীনের দখলে রয়েছে। কোরবানিকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে এই পণ্যগুলোর দাম বাড়তে শুরু করেছে। কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলেন, এবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করে খুব সুবিধা পাচ্ছি। কারণ জাতগুলো খুব ভালো আসছে। আর রসুন ও আদার দাম সামান্য ওঠানামা করে। বড় বড় এলসির মালিক বা প্রথম শ্রেণির দোকানদাররা সম্পূর্ণ লাভ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর আমরা সামান্য লাভে বিক্রি করছি।

এভিএস