মূলত নাছির উদ্দিন গলায় ছুরিকাঘাত করে সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নাছির উদ্দিন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রিজার্ভপাড়া আবদুল মালেকের ছেলে এবং এনামুল হক একই ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।'
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকার ডাকাতি প্রতিরোধে অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন অভিযান টিমের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন। এ ঘটনায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সেনা সদস্য বাদি হয়ে এবং অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদি হয়ে দু'টি মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার একদিন পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চিরুনি অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার সাথে জড়িত ছয় জনকে আটক করে।
আটককৃত ছয় জন হলেন মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)।
আটককৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দু'টি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় সেনাবাহিনী।