উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্প-কামালার বিতর্কে নজর ছিল বিভিন্ন দেশের নেতাদের

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের দিকে মার্কিন ভোটারদের পাশাপাশি গভীর নজর ছিল বিভিন্ন দেশের নেতাদের। ট্রাম্প ও কামালার বিতর্কে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের ইস্যু। দুই প্রার্থীর বার্তা ও প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের নেতারা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফিলাডেলফিয়ায় এবিসি নিউজের বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিস। বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ, সংঘাত ও অস্থিরতা নিয়ে তাদের কূটকৌশল বর্ণনা করেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ।

বিতর্কের ওপর কড়া নজর ছিল রাশিয়ার। যুদ্ধে ইউক্রেনের জয়ের ব্যাপারে কামালার প্রশ্ন এড়িয়ে যান ট্রাম্প। ফোন কলেই চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান সম্ভব বলে দাবি করেন ট্রাম্প। প্রার্থীদের এমন আলোচনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, পুতিনকে পুঁজি করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন দুই প্রার্থী।

এদিকে, যুদ্ধে ইউক্রেনের জয় নিয়ে ট্রাম্পের নিশ্চুপ থাকা শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে কিয়েভবাসীদের। তাদের ধারণা ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসলে ইউক্রেনের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাসে কামালার ওপর ভরসা রাখছেন ইউক্রেনীয়রা।

ট্রাম্প ও কামালার ব্যাপারে অনেকটাই নির্বিকার চীনের নেতারা। চীন বলছে, বাইডেনের দেখানো পথেই হাঁটবেন কামালা। এদিকে, চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যে-ই আসুক, চীন ইস্যুতে মার্কিন নীতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না।

গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের তীব্রতা ছড়িয়েছে ইরান-লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। এটিকে পুঁজি করেই বিতর্কে জড়ান দুই প্রার্থী। ট্রাম্পের ব্যাপারে সন্দিহান ফিলিস্তিনিরা। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতায়ও তারা হতাশ।

এদিকে, জার্মানির জ্বালানি নীতি পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বলে দাবি করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কে তার এমন মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি। এক বিবৃতিতে বার্লিন সরকার জানায়, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য আশ্চর্যজনক।

কোন বিশ্বনেতা তাকে সমর্থন জানাবেন সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবানের নাম বলে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এটিকে বড় স্বীকৃতি হিসেবে লুফে নেয় হাঙ্গেরির সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-কামালার এই বিতর্ক আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্ক কেমন হবে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এই বিতর্ক থেকে।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর