নির্বিচারে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গেল দুই দিনে উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে দেড়শ ফিলিস্তিনি। হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির কিংবা সেফ জোন, হামলার তালিকা থেকে বাদ যায়নি কোনো স্থাপনা।
গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলকে আরো ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর তেল আবিবের জন্য মার্কিন সহায়তার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজার হাসপাতালে নির্বিচারে হামলার অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। জানান, যুদ্ধ শুরুর পর ২৭টি হাসপাতালে ১৩৬ বার হামলা চালিয়েছে আইডিএফ যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। যদিও নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হলে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই আমি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের দাবি রাখে।’
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। চায়না মিডিয়াগ্রুপকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্ধ হয়ে গেছে। মানবাধিকারের কথা বললেও ইসরাইল প্রসঙ্গে নীরবতা পশ্চিমাদের দ্বিচারিতা প্রকাশ করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কিংবা মানবাধিকার কাউন্সিল, সব যায়গায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে আটকে দিয়েছে পশ্চিমারা। তাদের ন্যূনতম মনুষ্যত্ব নেই। ইসরাইলকে আটকাতে না পারলে নিজের বিবেকের প্রশ্নকে কীভাবে জবাব দিবেন?’
এদিকে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানী সানায় হুতি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ। এসময় ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন হুতি মুখপাত্র।