জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে পাঁচটি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায়। পরে খবর দিলে রেলওয়ে পুলিশ সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
নিহত ব্যক্তিরা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছে, রেললাইনে বসা অবস্থায় কাটা পড়েছে নাকি অন্য কেউ মেরে মরদেহ রেল লাইনে ফেলে রাখায় মরদেহ কাটা পড়েছে- তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলীম ও পিবিআইয়ের সদস্যরা।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আসল ঘটনা স্পষ্ট নয় এখনো। কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। তবে মরদেহগুলো ট্রেনে কাটা প্রাথমিকভাবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু এর আগে কোনো কিছু ঘটেছে কিনা সেটি তদন্ত শেষে বলা যাবে। পিবিআইও এটা নিয়ে কাজ করছে।’
সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি রেলওয়ে পুলিশ। মুঠোফোনে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলীম বলেন, 'নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে। নিহতরা সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে।'
ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিহতদের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ঘটনাটি ঘিরে। জনমনে প্রশ্ন- এটি কি নিছক ট্রেনে কাটা? নাকি কোনো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর ট্রেনের নিচে ফেলা হয়েছে?