আজ (সোমবার, ২০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে।
প্রথম ১৭ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যাতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী এসেছে। এরপরেই রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। এর মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে। এছাড়া জনতা ব্যাংক ৮ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার এবং সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এর আগে গত ১২ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স আসে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এ বছরের এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ, ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
আগামী জুন মাসে কোরবানি ঈদ রয়েছে। তাই রেমিট্যান্সের জন্য ব্যাংকগুলোর প্রণোদনা ঠিক রাখলে এবং খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকে ডলারের দামের পার্থক্য কম রাখলে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ইতিহাসে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান।