অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও উল্টো পথে হাঁটছে মার্কিন অর্থনীতি।
বিশ্বব্যাপী পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির সমালোচনাসহ নানা বিতর্কিত পদক্ষেপে আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এরই প্রভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে পুঁজিবাজার। বাদ যায়নি ডলার।
এবার তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছালো ডলারের সূচক। গতকাল (সোমবার, ২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। যেখানে উল্লেখ করা হয়, ডিএক্সওয়াই সূচকে শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ দরপতনের কারণে বিশ্বের বড় ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান ঠেকেছে ৯৮ এর নিচে। সূচকে ১০০ এর ওপরে অবস্থানের অর্থ মুদ্রার মান শক্তিশালী। অন্যদিকে ১০০ এর নিচে অবস্থানের ক্ষেত্রে বোঝায় এর বিপরীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় বিশ্বজুড়ে ভেঙ্গে পড়তে পারে ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য।
ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোসেফ গ্রেগরি ম্যাহোনি বলেন, 'মার্কিন অর্থনীতি পরিবর্তনের মোড়ে আছে। ডলারকে স্থিতিশীল রেখে আধিপত্য ধরে রাখার পদ্ধতিগুলো কাজ করছে না। ডলারের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। তবে এখন কেউই ডলারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপরেও আস্থা নেই।'
এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণের প্রতি আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। ইউএস গোল্ড ফিউচারসে নতুন রেকর্ড গড়েছে মূল্যবান এই ধাতু। তিন শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৪০০ ডলারের ওপরে। চলতি বছরে স্বর্ণের মান বেড়েছে ২৭ শতাংশ বা ৭০০ ডলারের বেশি। গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী বছর নাগাদ প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়াতে পারে চার হাজার ডলারের গণ্ডি।
স্বর্ণের সঙ্গে দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে বিটকয়েন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোমুদ্রাটির দাম ছাড়িয়েছে ৮৮ হাজার ডলার। যা গেলো ২ এপ্রিল ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী সম্পূরক শুল্ক ঘোষণার পর সর্বোচ্চ।