কম খরচ ও বেশি লাভের কারণে মাঠজুড়ে কলার চাষ করেন ঝিনাইদহের প্রান্তিক চাষিরা। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও তা বিক্রি হয় লাখ টাকায়। এবার জেলার ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০ টন।
এরই মধ্যে জমে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পবহাটি। ভোর থেকে এখানে ভিড় করেন ৬ উপজেলার কৃষক। রমজানে চাহিদা বাড়ায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে কলা। প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে এ বাজারে কলা কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, ‘বাজারের পরিস্থিতি খুব বেশি। কলার বাজার আর কমবে না। পুরো রোজার মাসে দাম বেশি থাকবে।’
চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ থেকে বিক্রি হবে অন্তত ৫২১ কোটি টাকার কলা। তবে রোজায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী বলেন, 'রমজানকে কেন্দ্র করে কৃষকরা লাভবান হবে। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারকে নষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তাকে সতর্ক করেছি।'
প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ১০০ ট্রাক কলা যায় রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তের হাট-বাজারে। আর প্রতিবছর এই বাজার থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার।