দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ছোট্ট জেলা মেহেরপুর। ভৌগোলিক কারণে বৈচিত্র্যময় ফল ফসল আবাদের জন্য বেশ খ্যাতি রয়েছে এই জেলার। এছাড়াও জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চায়না ও দার্জিলিং জাতের মাল্টা আর কমলা আবাদ।
কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে ৮০ থেকে একশ গাছ রোপণ থেকে ফল উৎপাদন পর্যন্ত খরচ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যেখান থেকে বছর ঘুরতেই ফলন পাওয়া যায় ১শ টন পর্যন্ত। বাজারে প্রতি মণ কমলা ৩৬শ থেকে ৪ হাজার আর মাল্টা বিক্রি হয় ১৮শ থেকে ২২শ টাকা পর্যন্ত।
স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় মাল্টা ও কমলা আবাদে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে চলিত মৌসুমে জেলার ৭৬ হেক্টর জমিতে মাল্টা ও কমলা আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে অন্তত ২০ কোটি টাকার ফল বিক্রির আশা তাদের।
মেহেরপুর সদরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাইনা খাতুন বলেন, ‘ফলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি ডাল-পালাগুলো ছেঁটে, কীটনাশক স্প্রে এবং সার দিয়ে রাখা যায়, তাহলে আগামী বছরের জন্য ফলন আরো ভালো হবে।’
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘আমরা এ জাতের মাল্টা ও কমলার চাষের সম্প্রসারণের পরামর্শ দিচ্ছি। যেহেতু বিদেশি মাল্টা দাম বেশি তাই দেশীয়ভাবে উৎপাদন করে আমরা অনেক টাকা সাশ্রয় করতে পারি।’
বিদেশি ফল মাল্টা ও কমলার উৎপাদন বাড়াতে পারলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।