জামালপুর সদর উপজেলার কুটামনি গ্রামের ফরহাদ হোসেন বাবু পেশায় একজন এনজিও কর্মী। করোনাকালে এনজিও প্রকল্পের কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেলে ঠিক করেন কৃষি উদ্যোক্তা হবেন। ইউটিউব দেখে এবং জেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির পাশে সীমিত পরিসরে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন। আদা বিক্রি করে ভালো লাভ পাওয়ায় বাড়াচ্ছেন আদা চাষ।
ছায়াযুক্ত স্থান, পুকুর পাড়ের চারপাশ ও অনুপযোগী পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত স্থান। অন্যান্য সবজির মত বস্তায় আদা চাষে বাড়তি যত্ন, কীটনাশক ও সেচ সুবিধার প্রয়োজন হয়না বলে অল্প খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে জামালপুর কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের কৃষি প্রণোদনা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জামালপুর জাকিয়া সুলতনা, ‘কৃষকদের মাঝে এ পদ্ধতিটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে, আমরা আশা করছি আদার চাষের সাফল্য দেখে আগামীতে চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। এরই সঙ্গে আদার আমাদানির নির্ভরতাও কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আশা করছি আমরা।’
চলতি বছর জামালপুরে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ডিসেম্বর থেকেই আদা উত্তোলন শুরু করবেন তারা।