চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের মাঠে অন্তত একশ বিঘা ফুলকপির ফলন নষ্ট হয়েছে। ফসল ওঠার সময় পার হলেও মাঠে নাজুক পড়ে আছে ফুলকপির গাছ। ঝরে পড়ছে পাতা, ফলন নেই একটি গাছেও। ক্ষতির মুখে পড়েছেন গ্রামের কয়েকশ চাষি।
কৃষকদের অভিযোগ, সিনজেনটা কোম্পানির বীজ ব্যবহার করে এমন বিপর্যয় ঘটেছে। জটিলতা দেখে বারবার ওই বীজ কোম্পানির কাছে ধরনা দিলেও মেলেনি সমাধান। অথচ একই মাঠে অন্য কোম্পানির বীজে ফলন হয়েছে আশানুরূপ।
চাষিদের একজন বলেন, ‘৭৫ দিন বয়স। বেঁচাকেনা তো হচ্ছেই না। পাতায় পোকা লেগে কপি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
আরেকজন বলেন, ‘সবারই একই অবস্থা। পাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফুল হয়েছে ছোট ছোট।’
এরই মধ্যে যে ফসল বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা, সে ফসল নষ্ট হচ্ছে মাঠে। লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন ও পরিচর্যা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক তদন্তেও বীজের সমস্যাকে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতামতে একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।’
ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী চাষিরা।