ঝালকাঠি শহরের কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহম্মেদ। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ২০২২ সালে পশ্চিম চাঁদকাঠি এলাকায় গড়ে তুলেন ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট। সময়ের সাথে বেড়েছে উৎপাদনের পরিধি। সেইসঙ্গে ঘুরেছে তার ভাগ্যের চাকা।
প্রথমে ছোট একটি শেড দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন দোচালা ঘরে ১৮টি রিং ও ১৬টি বক্স স্থাপন করে চলছে বাণিজ্যিকভাবে সার উৎপাদন। মাস শেষে তার লাভ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহম্মেদ বলেন, ‘উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ায় এখন লাভ হচ্ছে। আমি মনে করি অল্প পুঁজিতে এইটা লাভজনক।’
গোবর ও কলা গাছের কুচি মিশ্রন দিয়ে তৈরি হওয়া এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের উৎপাদন প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৪০ দিন। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি সার বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। ভালো ফলন পাওয়ায় দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এই সারের।
কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহম্মেদের স্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি এখান থেকে লাভবান হবো। এইটা লাভজনক ব্যবসা।’
উদ্যোক্তাদের সার উৎপাদনের এসব প্লান্ট নিয়মিত পরিদর্শন করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। দিচ্ছেন দরকারি সব পরামর্শও।
ঝালকাঠি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আলী আহম্মেদ বলেন, ‘কোনো উদ্যোক্তা যদি চান সে এই ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করবে তাহলে তার কিন্তু সে পরিমাণ পুঁজির দরকার নেই।’
জেলার ৪টি উপজেলার শতাধিক কৃষি উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছেন ভার্মি কম্পোস্ট সার। এ থেকে প্রতি মাসে উৎপাদন হয় প্রায় ৫০ টন সার।