অপরাধ ও আদালত
0

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড

শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামল, কর্তৃত্ববাদী সরকারে রূপ দিতে যাদের সরাসরি ভূমিকা ছিল তাদের একজন মনে করা হয় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে। সবশেষ তিনি ছাত্র-জনতা আন্দোলন দমনে, গণভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকা ১৪ দলের সভায় উপস্থিত থেকে নীতিগত সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছেন।

বুধবার ৬ নভেম্বর তাকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার, নিউ মার্কেট থানার ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তোলা হয় ঢাকার আদালতে। পরে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তাকে ৬ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর) সকালে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তোলা হয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। পরে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তাকে ৬ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ছাত্র-আন্দোলন দমনে আমির হোসেন আমু ষড়যন্ত্রের আদেশ, হত্যার নির্দেশ ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চান। আদালতে তার শুনানি চলাকালীন সময়ে আওয়ামীপন্থি ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নং গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।



এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ছাত্র-আন্দোলন দমনে, আমির হোসেন আমু হত্যার নির্দেশ ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন আওয়ামী সরকারকে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চান।

এএইচ