বিদেশে এখন
যুদ্ধ
0

হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের খরচ শত কোটি ডলার

ইরানের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রের বহরের হামলা থামাতে ইসরাইলের খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি ডলার। তেল আবিবের দাবি, ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে হামলা রুখতে পারলেও খরচ হয়ে গেছে ইরানের হামলা করার চেয়েও অনেক বেশি। পাঁচ বছরে ইরান আরও ৫০ বার এই ধরনের হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

শনিবার (১৩এ এপ্রিল) ইরানের ছোড়া ৩শ'র বেশি ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে তেল আবিব। কিন্তু সমরাস্ত্রের এই বহরের হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইসরাইলের খরচ হয়েছে শত কোটি ডলার। ইরানের নামবিহীন আকাশযান আর ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করতে প্রয়োজন পড়েছে জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য উপাদান। যাতে খরচ পৌঁছেছে ৪শ' থেকে ৫শ' কোটি শেকেলে।

ইসরাইলি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোয়াক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই খরচ শুধু ইসরাইলের, এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য মিত্র দেশ থেকে হামলা প্রতিহত করতে সরবরাহ করা অস্ত্রের খরচ অন্তর্ভুক্ত নেই।

দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, পশ্চিম জেরুজালেমে এ ধরনের তীর ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় যেগুলোর প্রতি ইউনিটে খরচ ৩৫ লাখ ও ১০ লাখ করে। ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে যুদ্ধবিমান যেগুলোর খরচও অনেক।

জেনারেল জানান, ইরানের এই হামলায় খরচ ইসরাইলের খরচের ১০ শতাংশের কাছাকাছিও নয়। তিনি পূর্বাভাস দেন, আসছে ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই ধরনের আরও ৫০ টি হামলা করতে পারে তেহরান। সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা খাতে আইডিএফ'এর বাজেট বাড়ানোর বিকল্প নেই।

আইডিএফ জানায়, ইরান ৩শ'র বেশি কামিকাজে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এই হামলায়। যার প্রায় শত ভাগ ভূপাতিত করেছে তেল আবিব। তবে কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের ভূখণ্ডে আঘাত করেছে।

ইএ