ঘরোয়া ক্রিকেটেও একটা সময় অবহেলিতই ছিলেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশ দলের জার্সিতেও একজন লেগ স্পিনারের জায়গা করে নেয়া খুব একটা সহজ ছিল না। তবে কঠিন সেই পথটা পাড়ি দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। সাদা বলের ক্রিকেটে লাল-সবুজের জার্সিতে এখন আস্থার নাম রিশাদ। দেশের হয়ে স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনটা তাই অনেকটাই রিশাদ কেন্দ্রিক।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ বর্তমানে রিশাদের গুরু। ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনারের উন্নতির গ্রাফটা কাছ থেকেই দেখেছেন মুশতাক। সংবাদ সম্মেলনে রিশাদকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিতই মনে হলো তাকে।
মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘মাঝে মাঝে এমন পিচ আপনাকে নিজের পরিকল্পনার বাইরে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমি মনে করি রিশাদের কাছ থেকে ওটা খুব ভালো বোলিং ছিল। সে লাইন এবং লেন্থ খুব ভালোভাবেই ধরে রেখেছিল। সে এখন রঙ এন্ডে বলা করা শুরু করেছে। যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো খবর।’
আরও পড়ুন:
তবে শুধু রিশাদই না। দেশের ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক পর্যায়েও আছে তরুণ লেগ স্পিনার। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্তত ১০ জন সম্ভাবনাময় লেগ স্পিনার আছে এমনই মন্তব্য মুশতাক আহমেদের। সেই সঙ্গে জানালেন স্পিনারদের উন্নতির উপায়টাও।
মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে আছে, মিরপুরে আমাদের দুই দিনের একটা সেশন হয়েছিল। অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে দশজন তরুণ লেগ স্পিনার ছিল। এরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ছিল দুজন। যেটা করতে হবে তাদের লাল বলের ক্রিকেটে নিতে হবে। কারণ এ কথাটি মনে রাখুন, লাল বলের ক্রিকেটই একজন স্পিনার বা একজন ব্যাটারের সেরা হিসেব তৈরি করে। কারণ সেটা আপনাকে পরিস্থিতি বুঝে খেলতে সাহায্য করে, কীভাবে খেলতে হয় বা কাউকে আউট করতে হয়।’
রিশাদ কিংবা তরুণ লেগ স্পিনারদের বিকাশে মুশতাক অবশ্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দেশি কোচদের। রিশাদের পরিশ্রমের সঙ্গে ধন্যবাদ জানালেন আলোচনার বাইরে থাকা কোচদেরও।
মুশতাক আহমেদে বলেন, ‘আমি বলছি, দেশি কোচদেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। মাঝে মাঝে আমরা তাদের মিস করি। আপনারা কেবল দেখছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সে কী করছে। তবে যারা সবসময় পেছনে থেকে কাজ করেছে, তাদের প্রশংসা প্রাপ্য।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিশেষায়িত লেগস্পিনারের অভাবটা দীর্ঘদিনের। নামের পাশে অলরাউন্ডারের পরিচয় থাকলেও রিশাদ নিজেকে স্কোয়াডে থিতু করেছেন বোলিং বৈচিত্র্যের পুরোটা দিয়ে। মুশতাক আহমেদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোতে টাইগার ক্রিকেটে আরও বড় প্রভাব থাকবে লেগস্পিনের।





